বর্ষা প্রবেশেই ধরা পড়ল চেনা চিত্র, ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ ৬০০ বাড়ি, ঘরছাড়া ২ হাজারেরও বেশি
Weather Condition in Tripura: আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টাতেও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

আগরতলা: বুধবার থেকে নেমেছে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি (Heavy Rain)। একদিনেই তিন জেলায় ক্ষতিগ্রস্থ হল ৬০০-রও বেশি বাড়ি, ঘরছাড়া হয়েছেন দুই হাজারেরও বেশি মানুষ। বাংলার পাশাপাশি প্রতিবেশী রাজ্যও ভাসছে ভারী বৃষ্টিপাতে। বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে খোয়াই, সিপাহিজেলা ও গোমতীতে।
বর্ষা প্রবেশ করতেই চরম দুর্দশায় পড়েছেন ত্রিপুরা (Tripura)-র বাসিন্দারা। বুধবার থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিতে শতাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিপদের আশঙ্কায় ২০টি ত্রাণ শিবিরে ঠাঁই নিয়েছেন দুই হাজারেরও বেশি মানুষ। রাজ্যের তরফে জানানে হয়, বৃহস্পতিবারের হিসাব অনুযায়ী ক্ষয়ক্ষতির সবথেকে বেশি খোয়াই ও সিপাহিজেলায়। গোমতীতেও প্রচুর ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছে জলের তোড়ে। ৭৮ টি বাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত এবং ৫২১টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে ৫৫৬টি পরিবার মিলিয়ে মোট ২১৩৭ জন আশ্রয় নিয়েছেন।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টাতেও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
বিগত কয়েক বছর ধরেই বর্ষাকালে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে ত্রিপুরায়। ২০১৮ সালে খোয়াই, গোমতী ও কাটাখালে জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় ৪০ হাজার মানুষকে রাজ্যের বিভিন্ন ত্রাণকেন্দ্রে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। ২০১৯ সালেও বর্ষাকালে প্রায় ১৮ হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়ে গিয়েছিলেন। রাজ্যের চারটি জেলায় খোলা হয়েছিল ৬১টি বিশেষ ত্রাণকেন্দ্র।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্য় সরকারের তরফে আগেই বারামুরা অঞ্চল জুড়ে ছোট ছোট বাঁধ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু অঞ্চলে সেই বাঁধের কাজ শেষ হয়েছে, যার ফলে এ বারের পরিস্থিতি এখনও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই জানিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।





