Tripura BJP Chaos: কথা শুনলো না কেউ! রাগে দলীয় কার্যালয়ের ভিতরেই যা ঘটালেন বিধায়ক…
Tripura BJP: নতুন মুখ্য়মন্ত্রীর নাম ঘোষণা করার পরই রাজ্য় বিজেপির কয়েকজন বিধায়ক ও নেতারা দাবি করেন যে, নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য তাঁদের মতামত গ্রহণ করা হয়নি।
আগরতলা: নির্বাচন হওয়ার এক বছর আগেই হঠাৎ ইস্তফা দিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। রাতারাতি ঘোষণা করা হয়েছে নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নামও। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট নন রাজ্য বিজেপি নেতারা। গতকাল দুপুরেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দেন। পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বাছাই করতে বিজেপির শীর্ষ মহলের তরফে ভূপেন্দ্র যাদব ও বিনোদ তাওড়েকে পাঠানো হয়। ঘণ্টাখানেকের দলীয় বৈঠকের পরই রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নাম ঘোষণা করা হয় মানিক সাহার নাম। তিনি ত্রিপুরার বিজেপির রাজ্য সভাপতি এবং দলের রাজ্যসভার সাংসদ। বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীদের ক্ষোভের কথা আগেই সামনে এসেছিল। নির্বাচনের আগে নতুন মুখ্যমন্ত্রী বাছাই করা হল সেই কারণেই, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। কিন্তু নতুন মুখ্যমন্ত্রী পেয়েও খুশি নন রাজ্য বিজেপির কর্মীরা। ক্যামেরাতেই ধরা পড়ল ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের সেই ঘটনা। নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা হতেই বিজেপি নেতা রাম প্রকাশ পালকে দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে চেয়ার ভাঙতে দেখা যায়।
নতুন মুখ্য়মন্ত্রীর নাম ঘোষণা করার পরই রাজ্য় বিজেপির কয়েকজন বিধায়ক ও নেতারা দাবি করেন যে, নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য তাঁদের মতামত গ্রহণ করা হয়নি। দলীয় বৈঠকে নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করতেই দলের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী রাম প্রসাদ পালকে সতীর্থদের সঙ্গে বচসা করতে দেখা যায়। এরপরই তিনি হঠাৎ চিৎকার করেন এবং হাতের সামনে রাখা একটি প্ল্যাস্টিকের চেয়ার তুলে মাটিতে আছাড় মেরে ফেলেন।
.@ramprasadpalBJP, feeling okay?
The entire @BJP4Tripura unit seems to be falling apart!@AITCofficial proves its might yet again!#ShameOnBJP pic.twitter.com/MfZy9vIyQC
— AITC Tripura (@AITC4Tripura) May 14, 2022
সূত্রের খবর, উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব বর্মাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হোক, তা চেয়েছিলেন বিধায়ক রাম প্রসাদ পাল। কিন্তু জিষ্ণু দেবের বদলে মানিক সাহার নাম ঘোষণা করাতেই তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়েন। দলীয় কর্মীদের সঙ্গেই বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। শুধু রাম প্রসাদ পালই নন, একাধিক বিজেপি নেতাকেই নিজেদের মধ্যে বচসা করতে দেখা যায়। একে অপরকে ধাক্কা দিতেও দেখা যায় তাঁদের।
বিজেপি বিধায়ক পরিমল দেববর্মা জানান, মানিক সাহার নাম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ঘোষণা করার আগে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কোনও কথা বলা হয়নি। মতামত নেওয়া তো দূরের কথা। কেন্দ্রীয় নেতাদের সিদ্ধান্ত তাঁদের উপরে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে, বিধানসভা নির্বাচনের এক বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী বদল নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেসও। টুইটে আক্রমণ করে বলা হয়, “গুন্ডামির সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে গিয়েছে। রাম প্রসাদ পাল থেকে শুরু করে ত্রিপুরার একাধিক বিজেপি নেতা, বিধায়ক, মন্ত্রীরা নিজেদের মধ্যে বচসায় জড়িয়ে পড়েছেন বিপ্লব দেব মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই। এতে আরও একবার প্রমাণ হল যে বিজেপির শাসনে রাজ্য অন্ধকার সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।”