ভ্যাকসিন কবে আসবে জানা নেই, ১৮ উর্ধ্বদের টিকাকরণে দেরির সম্ভাবনা ত্রিপুরায়
জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের ডিরেক্টর ডঃ সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল বলেন, "যতক্ষণ টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফে টিকা পাঠানো নিয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানানো হচ্ছে না, ততক্ষণ টিকাকরণ শুরু করা সম্ভব নয়।"
আগরতলা: ১ মে থেকে ১৮ উর্ধ্ব সকলের টিকাকরণের নির্দেশ দেওয়া হলেও ত্রিপুরায় টিকাকরণে দেরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, রাজ্যে কবে টিকা এসে পৌছবে, সে বিষয়ে এখনও টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির নিশ্চিতভাবে কিছু জানায়নি। শনিবার এমনটাই জানান ত্রিপুরার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক।
দেশে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করতেই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, আগামী ১ মে থেকে দেশের সমস্ত রাজ্যে ১৮ বছরের বেশি বয়সী সকল ব্যক্তিকেই করোনা টিকা দেওয়া যাবে। একইসঙ্গে জানানো হয়েছিল, এ বার থেকে রাজ্য সরকারগুলি সরাসরি টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থার কাছ থেকেও করোনা টিকা কিনে নিতে পারবে। ইতিমধ্যেই দুটি টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা তাদের করোনা টিকার দাম বেঁধে দিয়েছে।
তবে টিকাকরণ নিয়ে সমস্যায় পড়েছে ত্রিপুরা। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের ডিরেক্টর ডঃ সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল জানান, রাজ্য পুরোদমে টিকাকরণ কর্মসূচি চালানোর জন্য প্রস্তুত হলেও এখনও অবধি টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফে জানানো হয়নি পরবর্তী ব্যাচ কবে এসে পৌঁছবে। এই বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে লাগাতার যোগাযোগ রেখে চলেছি, তবে তাঁরা কবে টিকা পাঠাতে পারবেন, সে বিষয়ে এখনও কিছু নিশ্চিতভাবে জানাতে পারছেন না। তাঁরা আমাদের জানিয়েছেন যে, মহারাষ্ট্রের পরিস্তিতি যেহেতু শোচনীয়, সেই কারণে প্রথমে মহারাষ্ট্রেই টিকা পাঠানো হবে। এরপর তারা ত্রিপুরায় টিকা পাঠানো নিয়ে চিন্তাভাবনা করবেন।”
তিনি জানান, যতক্ষণ অবধি টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফে নিশ্চিতভাবে কিছু জানানো হচ্ছে না, ততক্ষণ টিকাকরণ শুরু করা সম্ভব নয়। ১ মে আদৌই টিকাকরণ শুরু করা যাবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আটজন জেলা শাসককেই এই বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। রাজনাতিক দলগুলিকেও জানানো হয়েছে। আমরা চাই না সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হোক।
রাজ্যে অক্সিজেন মজুত রয়েছে কিনা, এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আপাতত রাজ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন রয়েছে। রাজ্যে মোট তিনটি রিফিলিং স্টেশনও রয়েছে। এছাড়া প্রতিবেশী রাজ্য অসমের শিলচরে অক্সিজেন তৈরি করা হয়। যদি অসম থেকে অক্সিজেন না পাওয়া যায়, তবে রাজ্যে সঙ্কট দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘এ লড়াই আমাদেরও’, করোনা মোকাবিলায় ভারতের পাশে প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্য