কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সংঘাতে নেমেই সৈন্য হারাল টুইটার, ইস্তফা ‘গ্রিভিয়েন্স অফিসারে’র

Twitter vs Centre: কেন্দ্রের নিয়ম অনুসরণ না করায় ইতিমধ্যেই আইনি সুরক্ষা হারিয়েছে টুইটার। যারফলে বিতর্কিত পোস্টের জন্য টুইটারকেও পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে।

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সংঘাতে নেমেই সৈন্য হারাল টুইটার, ইস্তফা 'গ্রিভিয়েন্স অফিসারে'র
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 28, 2021 | 12:33 PM

নয়া দিল্লি: কেন্দ্রের সঙ্গে সরাসরি বিরোধের ময়দানে নেমেছে টুইটার (Twitter)। তবে প্রথম ধাপেই খোয়াতে হল সৈন্য। গ্রিভিয়েন্স অফিসার(Grievance Officer) নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রের চাপের মুখে পড়েই নিয়োগ করা হয়েছিল ধর্মেন্দ্র চতুর(Dharmendra Chatur)-কে। কিন্তু এক মাস হওয়ার আগেই তিনি পদত্যাগ করলেন।

কেন্দ্রের নয়া তথ্য প্রযুক্তি আইন অনুযায়ী, গ্রাহকদের সমস্যা শোনার জন্য এবং তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে একজন গ্রিভিয়েন্স অফিসার নিয়োগ করতে হবে। তবে এক্ষেত্রেও কেন্দ্রের বিশেষ শর্ত ছিল, ওই আধিকারিককে ভারতীয় হতে হবে।

বাকি সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলি এই নিয়ম মেনে নিলেও টুইটার তা মানেনি। কেন্দ্রের নয়া আইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দারস্থও হয় টুইটার। সেই সময়ই টুইটারের তরফে জানানো হয়, ধর্মেন্দ্র চতুর নামক একজন আইন বিশেষজ্ঞকে গ্রিভিয়েন্স অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। তবে কেন্দ্রের সাফ জবাব ছিল, এইধরনের স্থায়ী বিধিবদ্ধ পদের জন্য বাইরে থেকে কাউকে নিয়োগ করা চলবে না।

অন্যদিকে, গাজিয়াবাদে মুসলিম বৃদ্ধকে নিগ্রহের ঘটনাতেও পুলিশি জটিলতায় পড়েছে টুইটার। অনুরোধ করা সত্ত্বেও বিতর্কিত ভিডিয়ো সরিয়ে ফেলা বা বিকৃত বলে চিহ্নিত না করায় ভারতে টুইটারের অধকর্তা মনীশ মাহেশ্বরীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। লোনি থানায় হাজিরার জন্য তাঁকে এবং ধর্মেন্দ্র চতুরকে তলব করা হয়। এই টানাপোড়েনের মাঝেই পদত্যাগ করলেন ধর্মেন্দ্র প্রধান।

আরও পড়ুন: Jammu Kashmir: উপত্যকায় সন্ত্রাস! ড্রোন হামলার পর এবার পুলিশ কর্তাকে বাড়িতে ঢুকে খুন