শুধু আইসোলেশনই নয়, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কেরলে চাই ‘স্মার্ট’ লকডাউন, পরামর্শ কেন্দ্রের

Kerala COVID-19 Cases: কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, উপকূলবর্তী এলাকা, বিশেষত পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করা উচিত এবং গতিবিধিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত।

শুধু আইসোলেশনই নয়, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কেরলে চাই 'স্মার্ট' লকডাউন, পরামর্শ কেন্দ্রের
স্টেশনে যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 01, 2021 | 3:59 PM

নয়া দিল্লি: দেশে ফের উর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ। তার মধ্যে সবথেকে বেশি চিন্তা কেরলকে নিয়েই। কারণ দেশের মোট সংক্রমণের ৭০ শতাংশই এই রাজ্য থেকেই হচ্ছে। লকডাউন বা টিকাকরণেও বাগ মানানো যাচ্ছে না সংক্রমণে। যেখানে গতবছর করোনা সংক্রমণের শুরুতে বিশ্বজুড়ে যেখানে কেরল মডেলের প্রশংসা হয়েছিল, সেখানেই এ বার পিনারাই রাজ্য়ে “পরিকল্পিত লকডাউনে”র প্রয়োজন বলে জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

টিকাকরণে যেখানে দেশের মধ্যে সবার প্রথমে ছিল কেরল, সেই রাজ্যেই জুলাইয়ের শেষভাগ থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। সেই সময় আংশিক লকডাউন সহ বিধিনিষেধের নানা বেড়াজাল থাকলেও  অগস্টের মাঝামাঝি ওনাম উৎসবের জন্য বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করা হয়েছিল। ব্যাস, সেই সুযোগেই পিনারাই রাজ্যে জাঁকিয়ে বসে করোনা। দৈনিক আক্রান্ত একলাফে বেড়ে ২০ থেকে ৩০ হাজারের গণ্ডিতে পৌঁছয়।

উর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রুখতে পরিস্থিতি পর্যালোচনায় স্বাধীনতা দিবসের পরেরদিনই কেরল সফরে যান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় দলও। যদিও কেন্দ্রের অভিযোগ, কেরল সেই পরামর্শ অনুসরণ করছে না। তার জেরেই দিন প্রতিদিন আরও বাড়ছে সংক্রমণ।

এ দিন সকালেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, রাজ্যের ৮৫ শতাংশ করোনা রোগীই বর্তমানে বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন। তবে সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও কড়া পদক্ষেপ করা উচিত। কেরলে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে প্রতিবেশী রাজ্যগুলিও প্রভাবিত হচ্ছে বলে জানানো হয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেরলের স্মার্ট  ও পরিকল্পিত লকডাউন করা উচিত বলে জানানো হয়।

মাইক্রো-কন্টেনমেন্ট জ়োনের উপর জোর দিয়ে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, কেরলের উচিত প্রতিটি বিধিনিষেধ অক্ষরে অক্ষরে পালন করা। কেবল জেলা স্তরে বিধিনিষেধ আরোপ করলেই হবে না, প্রতিটি অঞ্চলভিত্তিক কন্টেনমেন্ট জ়োন জারি করা উচিত। কেরলে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিবেশী রাজ্য কর্নাটক, তামিলনাড়ুতেও সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের মোট সংক্রমণেও তার প্রভাব পড়ছে। করোনা রোগীদের কেবল হোম আইসোলেশনে রেখেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, উপকূলবর্তী এলাকা, বিশেষত পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করা উচিত এবং গতিবিধিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে কেরলে বর্তমানে রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা অবধি নৈশ কার্ফু জারি করা হয়েছে। এছাড়াও সপ্তাহ শেষে লকডাউনও জারি ছিল আগে থেকেই। তবুও কেরলে আক্রান্তের হার বা পজেটিভিটি রেট ১৪ থেকে ১৯ শতাংশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে, কিছুতেই তা ৫ শতাংশের নীচে নামানো সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে, সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে ইতিমধ্যেই কর্নাটক সরকার জানিয়েছে, কেরল থেকে কেউ রাজ্যে এলেই তাদের বাধ্যতামূলকভাবে সাতদিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। আরও পড়ুন: হোটেল সমস্যার চিরতরে সমাধান, বিপ্লব দেবের নাকের ডগায় তৈরি হচ্ছে তৃণমূল ভবন