G-20 meeting: ‘সংস্কৃতি কেবল পরিচয় নয়, উন্নয়ন ও বিশ্বব্যাপী সম্প্রীতির চালিকাশক্তি’, জি-২০ বৈঠকে মন্তব্য যোশীর
Prahlad Joshi: প্রহ্লাদ যোশীর কথায়, "আমরা কেবল এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করছি না, বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক পরিবর্তনেও সক্রিয় অংশগ্রহণকারী।"
হাম্পি: সংস্কৃতি কেবল পরিচয়ের একটা দিক নয়। সামগ্রিকভাবে স্থায়ী উন্নয়ন, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি এবং বিশ্বব্যাপী সম্প্রীতির চালিকাশক্তিও হল সংস্কৃতি। সোমবার কর্নাটকের (Karnataka) হাম্পিতে আয়োজিত তৃতীয় জি-২০ সংস্কৃতি ওয়ার্কিং গ্রুপ (CWG)-এর বৈঠকের উদ্বোধনী বক্তৃতায় এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী (Prahlad Joshi)। তাই বিশ্বের দরবারে দেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার বিষয়েও জোর দেন তিনি। এপ্রসঙ্গে কর্নাটকের অন্যতম ঐতিহ্য লাম্বানি এমব্রয়ডারিকেও বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার উপর জোর দেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী। তাঁর কথায়, “লাম্বানি এমব্রয়ডারির বৃহত্তম প্রদর্শন করে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে প্রবেশ করাই CWG-র লক্ষ্য।”
রাজ্য তথা দেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে চারটি বিষয়ের উপর জোর দিতে হবে বলে এদিন উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক ও কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। প্রথমত, সাংস্কৃতিক সম্পত্তির সুরক্ষা এবং পুনরুদ্ধার; দ্বিতীয়ত, স্থিতিশীল ভবিষ্যতের জন্য জীবন্ত ঐতিহ্যের ব্যবহার; তৃতীয়ত, সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল শিল্প এবং সৃজনশীল অর্থনীতির প্রচার এবং চতুর্থত, সংস্কৃতির সুরক্ষা এবং প্রচারের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার। জি-২০ সংস্কৃতি ওয়ার্কিং গ্রুপ (CWG)-এর বৈঠক বিশ্বের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের উন্নয়ন ও পরিবর্তনের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর। তাঁর কথায়, “আমরা কেবল এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করছি না, বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক পরিবর্তনেও সক্রিয় অংশগ্রহণকারী।” যে কোনও দেশ বা স্থানের সংস্কৃতি পারস্পরিক বোঝাপড়ার সেতুবন্ধনের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানান তিনি।
এদিন বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের ঐক্যশক্তি, বৈচিত্রের মধ্যে সৌন্দর্য এবং মানব উন্নয়নের জন্য সংস্কৃতির বিশাল সম্ভাবনার কথা মনে রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রহ্লাদ যোশী বলেন, “আমরা একই স্বপ্নের দ্বারা একত্রিত, একই আবেগ দ্বারা চালিত এবং একই আশা দ্বারা অনুপ্রাণিত।”
জি-২০-র তৃতীয় CWG বৈঠকে কর্নাটকের লাম্বানি এমব্রয়ডারিকে গিনেস বুকে প্রবেশ করানোর লক্ষ্য প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বলেন, “লাম্বানি সম্প্রদায়ের সাড়ে ৪০০-র বেশি মহিলার হাতে তৈরি লাম্বানি এমব্রয়ডারি সম্বলিত প্রায় ১৩০০ নিদর্শন জি-২০ সামিটে প্রদর্শন করা হবে।” এছাড়া কর্নাটকের ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলি বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমাপ্রাপ্ত ‘হাম্পি প্ল্যাট অফ মনুমেন্টস’-এর বিজয়া বিট্টলা মন্দির, রয়্যাল এনএন প্ল্যাসার এবং ইয়েরু বাসাভান্না কমসেক্সের মতো ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলিও জি-২০ প্রতিনিধিদের ঘুরিয়ে দেখানো হবে এবং তুঙ্গভদ্রা নদীতে একটি কোরাকল রাইড করানো হবে।