‘ভ্যাকসিন জোগাড় করতে না পারলে কি গলায় দড়ি দেব?’ আদালতের নির্দেশে ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয়মন্ত্রী

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডিভি সদানন্দ গৌড়া বৃহস্পতিবার জানান, সরকার সাধ্যমতো প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তবুও কিছু ক্ষেত্রে খামতি থেকে যাচ্ছে। তবে আগামী এক-দুদিনের মধ্যেই পরিস্থিতির উন্নতি হয়ে যাবে।

'ভ্যাকসিন জোগাড় করতে না পারলে কি গলায় দড়ি দেব?' আদালতের নির্দেশে ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয়মন্ত্রী
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: May 14, 2021 | 3:49 PM

বেঙ্গালুরু: ভ্যাকসিনের আকাল নিয়ে একের পর এক অভিযোগে তিতিবিরক্ত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডিভি সদানন্দ গৌড়া বৃহস্পতিবার বলেন, “কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী টিকা প্রস্তুত করতে না পারলে সরকারী কর্মীরা কি গলায় দড়ি দেবে?”

রাজ্যে ভ্যাকসিনের ঘাটতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় কেমিক্যাল ও সার মন্ত্রী সর্বানন্দ গৌড়া জানান, সরকারের পরিকল্পিত পথেই এগোনো হচ্ছে এবং এর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক সংযোগ নেই। তিনি বলেন, “আদালত অবশ্যই ভাল উদ্দেশ্য নিয়েই বলেছে যে সকলের উচিত ভ্যাকসিন পাওয়া। কিন্তু আমি আপনাদের প্রশ্ন করতে চাই, যদি আগামিকাল আদালতের তরফে বলা হয় যে এত সংখ্যক ভ্যাকসিন দিতে হবে, কিন্তু যদি তা উৎপাদনই না হয়, তবে কি আমাদের গলায় দড়ি দেওয়া উচিত?” মন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই বিতর্কের ঝড় ওঠে।

তিনি জানান, সরকার সাধ্যমতো প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তবুও কিছু ক্ষেত্রে খামতি থেকে যাচ্ছে। আগামী এক-দুদিনের মধ্যেই পরিস্থিতির উন্নতি হয়ে যাবে বলে জানান তিনি। এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “হিসাব মতো, কিছু জিনিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে। আমরা সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি কি?”

তবে দেবগৌড়াকে মাঝপথে থামিয়ে দিয়েই বিজেপির জাতীয় সভাপতি সিটি রবি জানান, যদি সঠিক প্রস্তুতি না নেওয়া হত, তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হত। প্রায় ১০ গুণ বা ১০০ গুণ বেশি মৃত্যু হত। তিনি আরও জানান, চাহিদা অনুযায়ী অক্সিজেন সরবরাহের পরিমাণও ৩০০ মেট্রিক টন থেকে ১৫০০ মেট্রিক টন করা হয়েছে। সেটিও নিয়ম অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়ার ফলেই সম্ভব হয়েছে।

আদালতের তরফে রাজ্যের করোনা মোকাবিলা পদ্ধতির সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, “বিচারকরা সর্বজ্ঞানী নন। আমাদের কাছে যা কিছু মজুত রয়েছে, তা হিসাব করে কার্যকরী পরামর্শদাতা কমিটিই নির্দেশ দেবে যে কতটা বন্টন করা যাবে। তাদের রিপোর্ট অনুসারেই আমরহা সিদ্ধান্ত নেব।”

কর্নাটকে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই দাবি রাজ্য সরকারের। দুটি টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা মিলিয়ে মোট তিন কোটি ভ্যাকসিনের অর্ডার দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয় কর্নাটক সরকারের তরফে।

আরও পড়ুন: করোনা চিকিৎসা করাতে গিয়ে পুরুষ নার্সের লালসার শিকার মহিলা, বিকেলেই মৃত্যু