Uniform Civil Code: ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে সংসদকে নির্দেশ দিতে পারে না আদালত’, সুপ্রিম কোর্টে জবাব আইন মন্ত্রকের
Centre on UCC: কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের তরফে সাফ জানানো হয়, আদালত সংসদকে কোনও আইন তৈরি বা কার্যকর করার নির্দেশ দিতে পারে না।
নয়া দিল্লি: দেওয়ানি বিধি নিয়ে ফের শুরু তরজা। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বা ইউনিফর্ম সিভিল কোড নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে এই বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে জানতে চাওয়া হলে, কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের তরফে সাফ জানানো হল, আদালত সংসদকে কোনও আইন তৈরি বা কার্যকর করার নির্দেশ দিতে পারে না। আইন কোনও নীতি ব্যবস্থা নয় এবং আদালত এই বিষয়ে কোনও নির্দেশ দিতে পারে না। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে যে জনস্বার্থ মামলাগুলি দায়ের হয়েছে, তাও খারিজ করার আবেদন জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে শীর্ষ আদালতের তরফে কেন্দ্রের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হলে, কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়, “আইনের চোখে এই রিট পিটিশন গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ পিটিশনার বা আবেদনকারী বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে অসামঞ্জস্যগুলি দূর করে, ইউনিফর্ম সিভিল কোড চালুর জন্য ভারতীয় সরকারের বিরুদ্ধেই নির্দেশনা চেয়েছেন৷ সংবিধানের নিয়ম মেনেই আইন ও আদালতের অবস্থান স্থির করা হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ীই সংসদ বা পার্লামেন্টের সার্বভোম ক্ষমতা রয়েছে কোনও আইন প্রণয়ন করার। কোনও বাইরের কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কোনও নির্দেশনা দিতে পারে না। কোনও একটি আইন ব্যবস্থা চালুর জন্য আইনসভাকে রিট নির্দেশিকা দেওয়া যায় না।”
উল্লেখ্য, ভারতে বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার সংক্রান্ত ব্যক্তিগত বিষয়গুলির জন্য বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন আইন রয়েছে। এই আইনগুলি পরিবর্তিত করে বা তুলে নিয়ে একটিই ব্যক্তি আইন বা দেওয়ানি বিধি চালু করার পক্ষেই এই মামলা। আইনজীবী অশ্বীনী উপাধ্যায় বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে এক নিয়ম চালুর জন্য একটিই ব্যক্তি আইন বা দেওয়ানি আইন চালুর আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। এই আবেদনের জবাবেই আইন মন্ত্রকের তরফে লিখিত জবাব দেওয়া হয়।
অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে আইন মন্ত্রকের তরফে আরও বলা হয়েছে, “এই বিষয়টি (অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করা) স্থির করা সাধারণ মানুষের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির কাজ এবং আদালত এই বিষয়ে কোনও নির্দেশিকা দিতে পারে না। এটা সম্পূর্ণভাবেই আইনসভার কাজ কোনও আই প্রণয়ন করা হবে কি না।”