ভারতীয় টুইটার প্রধানের রক্ষাকবচ ভাঙতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ যোগীরাজ্যের পুলিশ

শীর্ষ আদালতে পৌঁছেছেন টুইটারের ভারতীয় প্রধান মনিষ মাহেশ্বরীও।

ভারতীয় টুইটার প্রধানের রক্ষাকবচ ভাঙতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ যোগীরাজ্যের পুলিশ
সূত্রের খবর, ৪০ তলার মধ্যে ইতিমধ্যেই ৩২ তলা পর্যন্ত কাজ হয়ে গিয়েছিল, এবং প্রায় ৬৩৩ জন ফ্ল্যাট বুকও করে ফেলেছিলেন। এদের মধ্যে ২৪৮ জন টাকা ফেরত নিয়েছেন, ১৩৩ জন অন্য বহুতলে ফ্ল্যাট নিয়েছেন। কিন্তু ২৫২ জন এখনও অপেক্ষা করছিলেন আদালতের পক্ষ থেকে কোনও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসার।
Follow Us:
| Updated on: Jun 29, 2021 | 11:52 AM

নয়া দিল্লি: গাজিয়াবাদ মুসলিম বৃদ্ধ নিগ্রহ কাণ্ডে কর্ণাটক হাইকোর্ট আইনি সুরক্ষা দিয়েছিল টুইটারের (Twitter) ভারতীয় প্রধানকে। রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনওরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছিল হাইকোর্ট। এ বার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ উত্তর প্রদেশ পুলিশ। শীর্ষ আদালতে পৌঁছেছেন টুইটারের ভারতীয় প্রধান মনিষ মাহেশ্বরীও। তিনি ক্যাভেট দাখিল করে শীর্ষ আদালতকে অনুরোধ করেছেন, কোনও নির্দেশ দেওয়ার আগে যেন আদালত তাঁর বক্তব্য শোনে।

গাজিয়াবাদ মুসলিম বৃ্দ্ধ নিগ্রহের ঘটনায় পুলিশি জটিলতায় পড়েছে টুইটার। অনুরোধ করা সত্ত্বেও বিতর্কিত ভিডিয়ো সরিয়ে ফেলা বা বিকৃত বলে চিহ্নিত না করায় ভারতে টুইটারের অধকর্তা মনীশ মাহেশ্বরীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। আদালতে মনিষ জানান, প্রথমে নোটিসে তাঁকে ডাকা হয়েছিল সাক্ষ্য দিতে। তারপর ২ দিনের মধ্যে নোটিসে অভিযুক্ত করা হয় তাঁকে।

কর্নাটক হাইকোর্টে বিচারপতি জি নরেন্দরের এক সদস্যের বেঞ্চ উত্তর প্রদেশ পুলিশকে প্রশ্ন করেছিল, মনিষ মাহেশ্বরী টুইটারের প্রত্যেক দিনেক কর্মকাণ্ডের ডিরেক্টর নয়। তাহলে কী করে তাঁর ওপর দায় বর্তায়? এরপর হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, যদি উত্তর প্রদেশ পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়, তা করতে হবে ভার্চুয়াল মোডে। বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা মনিষ মাহেশ্বরীকে উত্তর প্রদেশ যেতে হবে না।

গাজিয়াবাদ নিগ্রহের ঘটনায় মুসলিম ধর্মাবলম্বী এক বৃদ্ধ জানান, তাঁকে বেশ কয়েকজন যুবক জোর করে জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে গিয়ে একটি কুড়ে ঘরে আটকে রাখে এবং সেখানে তাঁকে মারধর, এমনকি দাড়িও কেটে নেওয়া হয়। তাঁর অভিযোগ, জোর করে তাঁকে ‘বন্দে মাতরম’ ও ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতেও বাধ্য করা হয়েছে। ওই বৃদ্ধের কাকুতি-মিনতির ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। তবে সাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে এর কোনও সংযোগ নেই বলেই দাবি করে পুলিশ। তাদের মতে, ওই বৃদ্ধ ভুয়ো তাবিজ বিক্রি করায় তাঁর উপর চড়াও হয় অভিযুক্তরা। তাঁদের মধ্যে হিন্দু ও মুসলমান উভয়ই ছিল। সাম্প্রদায়িক অনুভূতি তৈরি করার চেষ্টার অভিযোগে কয়েকজন সাংবাদিক ও টুইটার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। এই বৃদ্ধ নিগ্রহের ভিডিয়োই সরিয়ে ফেলতে বা বিকৃত বলে চিহ্নিত করতে বলেছিল পুলিশ। তা না করায় প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় মনিষ মাহেশ্বরীকে।

অন্যদিকে টুইটারের ওয়েবসাইটে ভারতের বিকৃত ম্যাপ থাকায় মনিষ মাহেশ্বরীর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে মামলা। বজরং দলের নেতার এফআইআরের ভিত্তিতে টুইটারের ভারতীয় প্রধানের বিরুদ্ধে ৫০৫(২) ও আইটি আইন,২০০৮-এর ৭৪ নং ধারায় মামলা দায়ের করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ।

আরও পড়ুন: জম্মু বিস্ফোরণের তদন্তভার এনআইএর হাতে তুলে দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক