‘প্রকৃত বামপন্থী’ মমতার জন্য গান বাঁধলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নাতি
১৯৭৮ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নৃপেন চক্রবর্তী। তাঁর নাতির মতে, সিপিএম এখন আর সর্বহারার দল নয়। তাই 'প্রকৃত বামপন্থী' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে এসেছেন সন্দীপ।
ত্রিপুরায় তৃণমূলের সংগঠন শক্ত হচ্ছে। তার প্রমাণ মিলল সন্দীপ চক্রবর্তীর নতুন গানে। সন্দীপ চক্রবর্তী ত্রিপুরার ১০ বছরের মুখ্যমন্ত্রী নৃপেন চক্রবর্তীর নাতি। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নৃপেন চক্রবর্তী। তাঁর নাতির মতে, সিপিএম এখন আর সর্বহারার দল নয়। তাই ‘প্রকৃত বামপন্থী’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে এসেছেন সন্দীপ। এসেই জোড়া গানে বুঝিয়েছেন ‘ত্রিপুরা এ বার দিদিকেই চায়।’ সিপিএমের বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ, সিপিএম তাঁর দাদু নৃপেন চক্রবর্তীকে যোগ্য সম্মান তো দেয়নি। উল্টে শেষ বয়সটা সীমাহীন দুঃখে কেটেছিল ১০ বছরের মুখ্যমন্ত্রীর।
‘ধরো হাল শক্ত হাতের’ সুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে নিয়ে সন্দীপ গান বেঁধেছেন ‘আগামীর কাণ্ডারি অভিষেক শোনো বন্ধু রে…।’ ত্রিপুরা জয়ের লক্ষ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও গান লিখেছেন সন্দীপ। সেখানে জোর গলায় তাঁর বক্তব্য, ‘খেলা হবে এই বার ত্রিপুরার মাটিতে, হাওয়াই চটি হানা দেবে ডবল ইঞ্জিন ঘাঁটিতে।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ত্রিপুরায় যে একটা বিপ্লব দেব বিরোধী চোরা স্রোত বইছে, তার প্রমাণ মিলেছে সাম্প্রতিক এডিসি নির্বাচনেই। সেখানে পরাজিত হয়েছে বিজেপি। সূত্রের খবর, ত্রিপুরায় বিজেপির শীর্ষস্তরের বহু নেতাই যোগাযোগ রাখছেন তৃণমূলের সঙ্গে। বিপ্লব দেবকে ক্ষমতাচ্যূত করতে বিজেপি নেতারাই নাকি দলবদলের চেষ্টা করছেন। বিষয়টা অবশ্য নতুন নয়। গত দু’বছর ধরেই বিপ্লব দেবের সঙ্গে বোঝাপড়া ঠিক নেই অনেক বিজেপি নেতার। এরই মধ্যে আবার রাজ্য বিজেপির প্রেসিডেন্ট হয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা মানিক সাহা, যা বিজেপি নেতারা ভাল চোখে দেখেননি। আর বিজেপির মধ্যে এই দ্বন্দ্বেরই সুযোগ নিতে চাইছে তৃণমূল।
ত্রিপুরা বিজেপিতে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ও সুদীপ রায়ের দ্বন্দ্ব বর্মন। সুদীপ রায় বর্মন প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা। কংগ্রেস থেকে মুকুল রায়ের হাত ধরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৭ সালে মুকুল রায় তৃণমূল ছাড়ার পর দেখা যায় সুদীপ রায় বর্মনরাও ভোটের মুখে বিজেপিতে এসেছিল। সাড়ে ৩ বছর বছর পর মুকুল রায় ঘরে ফিরতেই ত্রিপুরা বিজেপিতেও কম্পন ধরে গিয়েছে। কারণ চরমে সুদীপ রায় বর্মনের তৃণমূল যোগের জল্পনা।
আরও পড়ুন: ভারতীয় টুইটার প্রধানের রক্ষাকবচ ভাঙতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ যোগীরাজ্যের পুলিশ