Murder: ছোট ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, প্রতিবেশীকে ফাঁসাতে নাতনিকেই খুন করল বৃদ্ধ দম্পতি!

ওই নাবালিকার স্কুলে গেলে তারা জানতে পারেন, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ওই কিশোরী স্কুলে আসেনি, কিন্তু তাঁর ঠাকুরদা-ঠাকুমাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা জানান, ওই দিন কিশোরী স্কুলে গিয়েছিল।

Murder: ছোট ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, প্রতিবেশীকে ফাঁসাতে নাতনিকেই খুন করল বৃদ্ধ দম্পতি!
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 25, 2021 | 10:19 AM

আলিগঢ়: ছোট ছেলের বিরুদ্ধে প্রতিবেশীর মেয়েকে ধর্ষণের (Physical Assault) অভিযোগ উঠতেই আইনি লড়াইয়ে নেমেছিলেন সত্তোরোর্ধ্ব মা-বাবা। কিন্তু ক’দিনের মধ্যেই আদালত ও আইনজীবীর খরচ বহন করতে গিয়ে পকেট ফাঁকা হয়ে এসেছে। আদালতের বাইরেই তাই প্রতিবেশীর উপর বদলা নেওয়ার ছক কষলেন ওই বৃদ্ধ দম্পতি, আর সেই প্রতিহিংসারই বলি হল ৮ বছরের ছোট শিশুটি। প্রতিবেশীকে ফাঁসাতে নিজেদের নাতনিকেই খুন (Murder) করলেন ওই দম্পতি।

শুক্রবার উত্তর প্রদেশ(Uttar Pradesh)-র আলিগঢ় থেকে ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, লেখরাজ ও সম্পত নামক ওই বৃদ্ধ দম্পতি নিজেদের ছোট ছেলেকে যৌন হেনস্থা ও ধর্ষণের অপরাধ থেকে বাঁচাতেই নিজেদের নাতনিকে খুন করেছেন। সত্তোরোর্ধ্ব ওই দম্পত্তি নাতনিকে খুন করে তাপ্পাল এলাকার একটি গ্রামে ফেলে দিয়ে আসে।

গত ২০ সেপ্টেম্বর ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। এরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ওই নাবালিকার স্কুলে গেলে তারা জানতে পারেন, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ওই কিশোরী স্কুলে আসেনি, কিন্তু তাঁর ঠাকুরদা-ঠাকুমাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা জানান, ওই দিন কিশোরী স্কুলে গিয়েছিল। এরপরই সন্দেহ হয় পুলিশের।

ওই দম্পতি ক্রমাগত প্রতিবেশীর দিকে সন্দেহের আঙুল তোলায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তখনই যৌন হেনস্থা ও ধর্ষণকাণ্ডের বিষয়ে জানতে পারেন তাঁরা। পরে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে লাগাতার জেরা করা হলে একের বার একের ধরনের বক্তব্য রাখেন তারা। পুলিশের সন্দেহ আরও গভীর হয়। প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আনতেই ভেঙে পড়েন ওই বৃদ্ধ দম্পতি, স্বীকার করে নেন তারাই নিজেদের নাতনিকে খুন করেছেন।

খুনের কারণ জানতে চাইলে তারা জানান, ওই নাবালিকার কাকার বিরুদ্ধে সম্প্রতিই যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন প্রতিবেশী। পুলিশেও অভিযোগ দায়ের হয়, জল গড়ায় আদালত অবধি। প্রথমে আইনি লড়াই লড়তে রাজি হলেও কয়েকদিনের মধ্য়েই আদালত ও আইনজীবীর খরচ বহন করতে গিয়ে তাদের জমা পুঁজি শেষ হয়ে যায়। এরপরই তারা আদালতের বাইরে সুরাহার পথ খুঁজতে থাকেন।

অন্য কোনও পথ না পেয়ে, প্রতিবেশীকে ফাঁসানোর জন্য নিজেদের আট বছরের নাতনিকেই খুন করার সিদ্ধান্ত নেন তারা। মন গড়া গল্প সাজাতে, স্কুলের পথে যেখানে নাতনির মৃতদেহ ফেলে এসেছিলেন, সেখান থেকে একটু দূরেই তাঁর স্কুল ব্যাগটি রেখে আসেন। কিন্তু ওই গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানায়, যেখান থেকে নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেখানেই ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে তারা যেতে ও আসতে দেখেছিল।

ওই দম্পতি জানিয়েছে, তাঁরা ভেবেছিলেন নাতনির খুনের মামলায় প্রতিবেশী ফেঁসে গেলে তখন তাদের আদালতের বাইরে সুরাহা করার প্রস্তাব দেওয়া হত। তাঁদের ছোট ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা তুলে নিলে তাঁরাও নাতনির খুনের অভিযোগ তুলে নিতেন।

আরও পড়ুন: Maharashtra: কোভিড কেড়েছে প্রাণ! মৃত বাবাকে চোখের আড়াল করতে নারাজ ছেলে যা করলেন, নজির…