Head Mistress: স্কুলে না এসে ১০ হাজার টাকায় প্রক্সি ভাড়া করে ৭০ হাজার টাকা বেতন নেন প্রধান শিক্ষিকা

Fraud case: গ্রামবাসীদের থেকে অভিযোগ পেয়ে সম্প্রতি ওই স্কুলে অভিযান চালান শিক্ষা দফতরের অফিসাররা। তখনই সামনে আসে এই জালিয়াতি। এর পর ওই প্রধান শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

Head Mistress: স্কুলে না এসে ১০ হাজার টাকায় প্রক্সি ভাড়া করে ৭০ হাজার টাকা বেতন নেন প্রধান শিক্ষিকা
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 23, 2022 | 1:50 PM

দেহরাদূন: সরকারি প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তিনি। মাইনে পান প্রায় ৭০ হাজার টাকা। কিন্তু নিয়মিত স্কুলেই আসেন না তিনি। তাই বলে তাঁর হাজিরা আটকে নেই। খাতায় কলমে দেখা যাচ্ছে, নিয়মিত স্কুলে আসেন তিনি। অথচ গত পাঁচ মাস ধরে তাঁকে স্কুলে দেখেননি পড়ুয়া থেকে গ্রামবাসীরা। নিজের হাজিরা দেওয়ার জন্য গ্রামেরই এক বেকার যুবতীকে ভাড়া করেছিলেন ওই প্রধান শিক্ষিকা। সেই যুবতীই রোজ স্কুলে আসেন। ক্লাস নেন। বদলে ওই প্রধান শিক্ষিকা তাঁকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা দেন। গ্রামবাসীদের থেকে অভিযোগ পেয়ে সম্প্রতি ওই স্কুলে অভিযান চালান শিক্ষা দফতরের অফিসাররা। তখনই সামনে আসে এই জালিয়াতি। এর পর ওই প্রধান শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু করা হয়েছে। এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের পারুই গাড়োয়াল জেলায়।

সে রাজ্যের শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পারুই গাড়োয়াল জেলার একেশ্বর ব্লকের বানথোলি গ্রামে রয়েছে একটি প্রাইমারি স্কুল।  সেই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন ধ্রুপদী মাধায়াল। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয় ওই স্কুলে। কিন্তু সেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা মাত্র ১২ জন। গত কয়েক মাস ধরেই স্থানীয়দের কাছ থেকে অভিযোগ আসছিল, প্রধান শিক্ষিকা নিয়মিত স্কুলে আসেন না। অভিযোগ পেয়ে সম্প্রতি ওই প্রাইমারি স্কুলে হানা দিয়েছিলেন জেলা শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। তাঁরা যাওয়ার পরই গোটা ঘটনা সামনে এসেছে।

ঘটনা নিয়ে ওই সেখানকার ব্লক এডুকেশন অফিসার বুশরা বলেছেন, “স্থানীয় গ্রামবাসীদের থেকে আমরা অনেক বার অভিযোগ পেয়েছিলাম। প্রধান শিক্ষিকা প্রায়শই স্কুলে আসেন না এবং তিনি পড়ানোর জন্য এক জনকে ভাড়া করেছেন বলে আমরা জানতে পারি। তার পর হঠাৎ আমরা এক দিন পরিদর্শনে যাই। তখনই দেখি এই অভিযোগ সত্যি।” ওই শিক্ষা দফতরের ওই অফিসার আরও বলেছেন, “অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা কোতদ্বার শহরে থাকেন। তিনি প্রায় ৭০ হাজার টাকা মাইনে পান। যে তাঁর কাজে প্রক্সি দেয়, তাঁকে তিনি ১০ হাজার টাকা প্রতি মাসে দেন। হত পাঁচ মাস ধরেই এই কাজ করছেন তিনি।”

ওই প্রাইমারি স্কুলে অভিযানের পর জেলার আধিকারিকরা রিপোর্ট পাঠিয়েছেন শিক্ষা দফতরে। তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এবং ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে তাঁকে একেশ্বর ব্লক শিক্ষা দফতরে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।