Tunnel rescue: সুড়ঙ্গের ভিতরেই অস্থায়ী হাসপাতাল, শেষ মুহূর্তের অভিযানে সাত দফা পরিকল্পনা NDRF-এর

Uttarakhand Tunnel rescue: উত্তরাখণ্ডের মুখ্য়মন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য পাইপ বসানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। সুড়ঙ্গের ভিতরেই তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী হাসপাতাল। কীভাবে শ্রমিকদের বাইরে আনার পরিকল্পনা করেছে উদ্ধারকারীরা? শ্রমিকদের বাইরে আনার পর, উদ্ধাকারীদের পরবর্তী পদক্ষেপই বা কী হতে চলেছে?

Tunnel rescue: সুড়ঙ্গের ভিতরেই অস্থায়ী হাসপাতাল, শেষ মুহূর্তের অভিযানে সাত দফা পরিকল্পনা NDRF-এর
শেষ মুহূর্তের অভিযানে এনডিআরএফ কর্মীরাImage Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 28, 2023 | 4:08 PM

দেরাদুন: রুদ্ধশ্বাস সতেরোটি দিন কাটার পর, মঙ্গলবার বিকেলে সুড়ঙ্গের অন্ধকূপ থেকে শ্রমিকদের উদ্ধারের আশার আলো দেখা যাচ্ছে। তিন-তিনবার ড্রিল মেশিন ভেঙে থমকেছে এই উদ্ধার অভিযান। অবশেষে, ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে ইঁদুরের মতো গর্ত খুঁড়ে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। উত্তরাখণ্ডের মুখ্য়মন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য পাইপ বসানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। পাইপটি ৮০০ মিলিমিটার প্রশস্ত। কাজেই তার মধ্য দিয়ে একজন করেই বের হতে পারবেন। পাইপ বসানো সম্পূর্ণ হওযার পর, কীভাবে শ্রমিকদের বাইরে আনার পরিকল্পনা করেছে উদ্ধারকারীরা? শ্রমিকদের বাইরে আনার পর, উদ্ধাকারীদের পরবর্তী পদক্ষেপই বা কী হতে চলেছে?

    • ৮০০ মিলিমিটার প্রশস্ত পাইপটি দিয়ে একেকজন করে শ্রমিকদের বাইরে বের করে আনার পরিকল্পনা করেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। চাকা লাগানো স্ট্রেচারে শুইয়ে দড়ি দিয়ে পাইপ-পথ ধরে তাঁদের টেনে বের করা হবে। এনডিআরএফ-এর ডিজি জানিয়েছেন, ৮০০ মিটার প্রশস্ত পাইপটি একজন করে শ্রমিকের বের হওয়ার জন্য যথেষ্ট চওড়া। এমনিতে ওই পাইপ দিয়ে গুঁড়ি.মেরেই একজন মানুষ বের হতে পরেন। তবে, দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা শ্রমিকদের পক্ষে তা সম্ভব নয়। তাই, চাকা লাগানো স্ট্রেচারই ভরসা।
    • প্রথমে এনডিআরএফ-এর সদস্যরা পাইপের ভিতর দিয়ে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে যাবেন। তাঁদের সঙ্গে ভিতরে যাওয়ার কথা এক চিকিৎসকেরও।
    • যাতে শ্রমিকদের বের করার সময় ধ্বংসস্তুপের কোনও টুকরো বাধা না সৃষ্টি করে, তার জন্য প্রথমেই ৮০০ মিলিমিটার চওড়া পাইপটি পরিষ্কার করা হবে। তারপর, তাদের সঙ্গে থাকা সরঞ্জামগুলি ব্যবহার করে শ্রমিকদের বাইরে পাঠাতে শুরু করবেন এনডিআরএফ-এর জওয়ানরা। বাইরে থেকে দড়ি ধরে টেনে এক এক করে আটকে থাকা শ্রমিকদের সুড়ঙ্গের বাইরে বের করা হবে।
    • সুড়ঙ্গ থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যাতে শ্রমিকদের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া যায়, তার জন্য এদিন সুড়ঙ্গের ভিতরে একটি অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। আটকে পড়া শ্রমিকদের বাইরে বের করার পর, যদি কোনও সমস্যা হয়, সেই ক্ষেত্রে তাদের সেখানেই চিকিৎসা দেওয়া হবে। এর জন্য উত্তরাখণ্ড স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সুড়ঙ্গের ভিতর ৮টি শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দলও রয়েছে।

  • সুড়ঙ্গের বাইরেই থাকছে থাকছে বেশ কিছু অ্যাম্বুলেন্সও। বাইরে আসার পর, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠানো হবে চিনিয়ালিসাউর হাসপাতালে।
  • সেখানে এই শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্যই ৪১টি শয্যার একটি বিশেষ ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এই ওয়ার্ডে নিয়ে আসা হবে শ্রমিকদের। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হবে।
  • মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মানসিক এবং শারীরিকভাবে সুস্থই রয়েছেন শ্রমিকরা বলে, জানা গিয়েছে। খনন বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিস্কের মতে, তাঁরা নাকি ভিতরে ক্রিকেট খেলছেন। তবে, এই দীর্ঘদিন অন্ধকূপে আটকে থাকায় তাদের মানসিক আতঙ্ক দূর করাটা কঠিন হবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। কাজেই শ্রমিকদের শারীরিক চিকিৎসার পাশাপাশি, মেন্টাল কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।