Uttarkashi: আর ১২ মিটার পাহাড় কাটলেই কেল্লাফতে, আজ রাতেই মুক্তি শ্রমিকদের?

Uttarkashi tunnel collapse: সব মিলিয়ে মোট ৩৯ মিটার গভীর পর্যন্ত প্রবেশ করানো হয়ে গিয়েছে পাইপটিকে। জরুরি পরিষেবা বিভাগের কর্তারা বলছেন এদিন রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদই আসতে পারে সুখবর। মুক্ত আকাশের নীচে শ্বাস নিতে পারবেন গত ১০ দিন ধরে ধসে পড়া সুড়ঙ্গের কুঠুরিতে আটতে থাকা নির্মাণকর্মীরা।

Uttarkashi: আর ১২ মিটার পাহাড় কাটলেই কেল্লাফতে, আজ রাতেই মুক্তি শ্রমিকদের?
নতুন ড্রিল মেশিন করল কামালImage Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 22, 2023 | 6:37 PM

দেরাদুন: আটকে থাকা শ্রমিকরা আর ১২ মিটার দূরে। তাদের মুক্তির পথে এখনও বাধা হয়ে রয়েছে ১২ মিটার প্রশস্ত পাথর আর ধ্বংসস্তূপ। উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে ধসে পড়া সুড়ঙ্গে উদ্ধার অভিযানে বুধবার (২২ নভেম্বর), বড় অগ্রগতি ঘটল। আমেরিকা থেকে যে ড্রিল মেশিন আনা হয়েছে, তা দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে এদিন আরও ৬ মিটার গভীরে প্রবেশ করানো গিয়েছে ইভাকুয়েশন পাইপটিকে। সব মিলিয়ে মোট ৩৯ মিটার গভীর পর্যন্ত প্রবেশ করানো হয়ে গিয়েছে পাইপটিকে। জরুরি পরিষেবা বিভাগের কর্তারা বলছেন এদিন রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদই আসতে পারে সুখবর। মুক্ত আকাশের নীচে শ্বাস নিতে পারবেন গত ১০ দিন ধরে ধসে পড়া সুড়ঙ্গের কুঠুরিতে আটতে থাকা নির্মাণকর্মীরা।

সব মিলিয়ে উদ্ধারকারী দলের নজরে রয়েছে মোট সাতটি পাইপ। এর মধ্যে পাঁচটি পাইপ হল ইভাকুয়েশন পাইপ। বাকি দুটি পাইপ কাজ করছে সাপ্লাই পাইপ হিসেবে। ৪ ইঞ্চি চওড়া পাইপগুলি দিয়ে প্রথম থেকেই অক্সিজেন এবং শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছিল। সোমবার ৬ ইঞ্চি পাইপটি প্রবেশ করানোর পর, সেটি দিয়ে রান্না করা গরম খাবার, মোবাইল ফোন পাঠানো হয়েছে। ইভাকুয়েশন পাইপগুলির প্রথমটি প্রবেশ করানো হয়ছে সুড়ঙ্গের সিলকিয়ারা প্রান্ত থেকে। দ্বিতীয় পাইপটি প্রবেশ করানো হয়েছে ২ কিলোমিটার দূরে, সুড়ঙ্গের অপর প্রান্ত, বারাকোটে প্রান্ত থেকে। তবে, সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ চলছে সুড়ঙ্গের উপরে। আমেরিকান ড্রিন মেশিনটি দিয়ে, পাহাড়ের উপর থেকে উল্লম্বভাবে ড্রিল করে পাইপটি ঢোকানো হচ্ছে। এছাড়া পাশ থেকে আরও দুটি পাইপ ঢোকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তার জন্য নতুন মেশিন অ্যাসেম্বল করা হচ্ছে।

উদ্ধারকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বুধবার বিকেলেও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে তাদের। তারা সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। তবে, শ্রমিকদের বাইরে আনার পরই প্রথমে তাঁদের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হবে। এর জন্য সুড়ঙ্গের ঠিক বাইরেই জরুরী ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে একটি অস্থায়ী হাসপাতাল। বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের ডেকে আনা হয়েছে সেই হাসপাতালে। তৈরি রাখা হচ্ছে লাইফ সাপোর্টের সুবিধা থাকা অ্যাম্বুল্যান্স।