Crime News: নিউমোনিয়া কমাতে দেড় মাসের শিশুকে গরম শিক দিয়ে ৪০ বার ছ্যাঁকা!

Madhya Pradesh: শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যায় তাঁর মা-বাবা। তখনই বিষয়টি সামনে আসে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, কমপক্ষে ৪০ বার ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছিল শিশুটিকে। দেড় মাসের শিশুটির গলা, পেট সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পোড়া দাগ পাওয়া গিয়েছে।

Crime News: নিউমোনিয়া কমাতে দেড় মাসের শিশুকে গরম শিক দিয়ে ৪০ বার ছ্যাঁকা!
প্রতীকী চিত্রImage Credit source: Pixabay
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 22, 2023 | 11:50 AM

ভোপাল: জন্মের পর থেকে টানা সর্দি-কাশিতে ভুগছিল শিশুটি। দেড় মাসের শিশুর নিউমোনিয়া হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু চিকিৎসকের কথার থেকে বেশি ভরসা ছিল দাইমার উপরে। সেই কারণেই বংশের প্রদীপকে সুস্থ করতে দাইমার কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই দাইমা(Daai Ma)-ই কি না একরত্তিকে লোহার রড (Iron Rod) গরম করে ছ্যাঁকা দিল। তাও আবার এক-দু’বার নয়, কমপক্ষে ৪০ বার ছ্যাঁকা দিলেন। ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য় প্রদেশের (Madhya Pradesh) শাহদোল জেলায়। গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ওই শিশুটিকে।

জানা গিয়েছে, শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যায় তাঁর মা-বাবা। তখনই বিষয়টি সামনে আসে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, কমপক্ষে ৪০ বার ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছিল শিশুটিকে। দেড় মাসের শিশুটির গলা, পেট সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পোড়া দাগ পাওয়া গিয়েছে। পোড়া চিহ্ন নিয়ে চিকিৎসকরা জানতে চাইলে, তখন বিষয়টি সামনে আসে।

জানা গিয়েছে, মধ্য প্রদেশের শাহদোলের বাসিন্দা ওই পরিবারে দেড় মাস আগে পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। সম্প্রতিই প্রচন্ড ঠান্ডা লাগে শিশুটির। গ্রামীণ এক চিকিৎসক পরীক্ষা করে বলেছিলেন, শিশুটির নিউমোনিয়া হয়েছে। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা, বিশেষ করে শিশুটির মা ও ঠাকুর্দা শিশুটিকে নিয়ে গ্রামের দাই মা বুতি বাইয়ের কাছে নিয়ে যান।

ওই মহিলা নিউমোনিয়ার চিকিৎসায় শিশুটিকে গরম লোহার রড দিয়ে ৪০ বারেরও বেশি ছ্যাঁকা দেন। সারা শরীরে পোড়া ক্ষত তৈরি হয়। বাড়িতেই প্রথমে চিকিৎসার চেষ্টা করলেও, পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শিশুটিকে নিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে যায় তাঁর মা-বাবা। সেখান থেকে শিশুটিকে মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়।

হাসপাতাল থেকে পুলিশে খবর দেওয়া হলে অভিযুক্ত দাইমা, শিশুটির মা ও ঠাকুর্দার নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। স্বাস্থ্য আধিকারিকরাও বিশেষ তদন্ত করছেন এই বিষয়ে।