Tunnel Update: সুড়ঙ্গের জটিল পরিস্থিতিতে পরিত্রাতার ভূমিকায় বাঙালি যুবক, কীভাবে জানুন
Uttarkashi tunnel update: অন্ধকার সুড়ঙ্গে ভিতর থেকে অগার মেশিনের ভাঙা অংশ টেনে বের করা সহজ কাজ ছিল না। ৪৬ মিটার লম্বা পাইপের ভিতর শুয়ে মেশিনের মাধ্যমে লোহার অগার মেশিনের ব্লেড কাটতে হয়েছে। যা সত্যিই দুঃসাধ্য কাজ। সেই কাজই করে দেখালেন জব্বলপুরের বাসিন্দা সিদ্ধান্ত পাল।
উত্তরকাশী: উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গের (Tunnel) মধ্যেই ৪১ জন শ্রমিকের ১৬ দিন কেটে গিয়েছে। তাঁদের বের করতে কার্যত নাজেহাল অবস্থা উদ্ধারকারী দলের। বিশেষত, অগার মেশিন ভেঙে গিয়ে সুড়ঙ্গের ভিতর আটকে গেলে উদ্ধারকারী দলের ঘুম ছুটে যায়। এই জটিল পরিস্থিতিতে পরিত্রাতার ভূমিকা নিলেন এক বাঙালি। আক্ষরিক অর্থে উদ্ধারকারীদের উদ্ধারের পথ বের করে দিলেন বাঙালি যুবক (Bengali young man), সিদ্ধান্ত পাল। তাঁর নেতৃত্বেই মাত্র ২৪ ঘণ্টায় লেজার টেকনোলজি ব্যবহার করে সুড়ঙ্গ থেকে অগার মেশিন কেটে বের করে আনা হল।
অন্ধকার সুড়ঙ্গে ভিতর থেকে অগার মেশিনের ভাঙা অংশ টেনে বের করা সহজ কাজ ছিল না। ৪৬ মিটার লম্বা পাইপের ভিতর শুয়ে মেশিনের মাধ্যমে লোহার অগার মেশিনের ব্লেড কাটতে হয়েছে। যা সত্যিই দুঃসাধ্য কাজ। সেই কাজই করে দেখালেন জব্বলপুরের বাসিন্দা সিদ্ধান্ত পাল।
পাইপের ভিতর কার্যত শুয়ে-শুয়ে বুকে ভর দিয়ে পৌঁছতে হয়েছে মূল জায়গায়। ৪৫ মিটার পাইপের অপরপ্রান্তে পৌঁছতে সময় লেগেছে ৩০ মিনিট। পাশ ফেরার জায়গা নেই। ঘন অন্ধকারে ভরসা মাউন্ট লাইট। নেই অক্সিজেন মাস্ক। যে কোনও সময় বিপদ ঘটলে ভরসা শুধু ওয়াকিটকি। কিন্তু বিপদ ঘটলেও পিছন ফিরে বুকে ভর করে ফিরে আসতে সময় লাগবে আধ ঘণ্টার বেশি। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেই সিদ্ধান্ত পালের নেতৃত্বে দুঃসাধ্য কাজ করে দেখালেন দুই শ্রমিক, কৃষ্ণ দালে এবং ময়ূর ওয়াডমারে।
অগার মেশিনের ভাঙা অংশ বের করার পরই ফের সুড়ঙ্গে পাইপ ঢোকানোর কাজ শুরু হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে সুড়ঙ্গে পাইপ ঢোকানোর কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। এখন শ্রমিকদের থেকে আর মাত্র কয়েক মিটার দূরে রয়েছে উদ্ধারকারী দল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এদিন রাতের মধ্যেই শ্রমিকদের উদ্ধার করা সম্ভব হতে পারে। যদিও আর কোনও সময়সীমা দিতে নারাজ উদ্ধারকারী দলের আধিকারিকেরা। তবে সুখবরের সম্ভাবনা দেখা দিতেই সুড়ঙ্গের সামনে পুজোয় বসেছেন বিদেশি এক্সপার্ট আর্নল্ড ডিস্ক।