Uttarkashi tunnel rescue: সুড়ঙ্গের বাইরে ভিড় অ্যাম্বুলেন্সের, উদ্ধারের পর শ্রমিকদের জন্য আর কী কী ব্যবস্থা থাকছে?

Uttarkashi tunnel rescue: বুধবার (২২ নভেম্বর) রাতেই, অথবা, বৃহস্পতিবার সকালে তাঁরা মুক্ত আকাশের নীচে শ্বাস নিতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, শ্রমিকদের উদ্ধারের পরও উদ্ধারকারীদের কাজ শেষ হবে না। ধসে পড়া সুড়ঙ্গে দশদিন ধরে আটকে থাকার পর, তাদের জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার সুপারিশ করেছেন চিকিৎসকরা।

Uttarkashi tunnel rescue: সুড়ঙ্গের বাইরে ভিড় অ্যাম্বুলেন্সের, উদ্ধারের পর শ্রমিকদের জন্য আর কী কী ব্যবস্থা থাকছে?
সুড়ঙ্গের বাইরে ভিড় অ্যাম্বুলেন্সেরImage Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 22, 2023 | 8:16 PM

দেরাদুন: সুড়ঙ্গের শেষে অবশেষে আলো দেখা যাচ্ছে। ১২ নভেম্বর, উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর এক নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে ধসে পড়ে আটকে গিয়েছিলেন ৪১ জন নির্মাণকর্মী। তারপর থেকে তাদের উদ্ধারের একের পর এক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু, বুধবার আটকে থাকা শ্রমিকদের প্রায় কাছে পৌঁছে গিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। বিকেলে জানানো হয়েছে, তাদের বের হওয়ার জন্য যে ইভাকুয়েশন পাইপ ঢোকানো হচ্ছে ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে, তা, আর ১২ মিটার খনন করলেই শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে যাবে। বুধবার (২২ নভেম্বর) রাতেই, অথবা, বৃহস্পতিবার সকালে তাঁরা মুক্ত আকাশের নীচে শ্বাস নিতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, শ্রমিকদের উদ্ধারের পরও উদ্ধারকারীদের কাজ শেষ হবে না। ধসে পড়া সুড়ঙ্গে দশদিন ধরে আটকে থাকার পর, তাদের জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার সুপারিশ করেছেন চিকিৎসকরা।

দুর্ঘটনাস্থলের ঠিক বাইরেই কন্ট্রোলরুম স্থাপন করেছেন উদ্ধারকারীরা। যাতে উদ্ধারের পরই শ্রমিকদের চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া যায়, তার জন্য সেই কন্ট্রোলরুমের ভিতরেই আট শয্যার একটি অস্থায়ী হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে সবসময় থাকছেন ১৫ জন চিকিৎসকের একটি দল। বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন রোগের বিশেষজ্ঞদের ডেকে আনা হয়েছে। এছাড়া, অক্সিজেন সিলিন্ডার, অক্সিজেন মাস্ক, স্ট্রেচার, রক্তচাপ মাপার যন্ত্র, রক্তচাপ স্বাভাবিক করার যন্ত্রের মতো, বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জামও রয়েছে সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গস্থলে। চিনিয়ালিসাঘরের একটি কমিউনিটি হেলথ সেন্টারেও শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে, যাতে তাদের দ্রুত উন্নতমানের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়, তার জন্য ‘স্ট্যান্ডবাই’ রাখা হয়েছে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি হেলিকপ্টার।

হরিশ প্রসাদ নামে এই অ্যাম্বুলেন্স চালক জানিয়েছেন, ৪০ থেকে ৪১টি অ্যাম্বুলেন্স প্রয়োজন বলে জানিয়েছিলেন উদ্ধারকারীরা। দেরাদুন, হরিদ্বার এবং তেহরি থেকে সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গ এলাকায় শিগগিরই ৩৫-৩৬টি অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছবে। নবীন নামে আরেক অ্যাম্বুলেন্স চালক জানিয়েছেন, বিকেলের পর কিছুক্ষণ উদ্ধার অভিযান বন্ধ রাখা হয়েছিল। সন্ধ্যায় ফের অভিযান শুরু হবে। তার আগেই মোট ৪০টি অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘনাস্থলে এসে যাবে। আগেই আরও 4টি অ্যাম্বুলেন্স সেখানে ছিল।

এদিন বিকেলে এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী ২ ঘন্টার মধ্যে, পরবর্তী পর্যায়ের কাজ শুরু হবে। এদিন উত্তরকাশীর দুর্ঘটনাস্থলে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রাক্তন উপদেষ্টা ভাস্কর খুলবে। তিনি উত্তরাখণ্ড পর্যটন বিভাগের এক বিশেষ কার্যনির্বাহী কর্মকর্তাও বটে। খুলবে জানান, প্রায় ৬৭ শতাংশ খননের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ৪৫ মিটার পর্যন্ত আনুভূমিকভাবে পাইপ ঢোকানো হয়েছে। ভাস্কর খুলবে আরও জানান, খননের পথে কোনও বাধা না আসলে এদিন রাতে অথবা আগামীকাল সকালেই ‘বড় খবর’ পাওয়া যেতে পারে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ধ্বংসাবশেষের মধ্য দিয়ে খনন করতে গিয়ে, এদিন ড্রিল মেশিনের সামনে একটি লোহার রড পড়েছিল। কিন্তু, পাইপলাইন বিছনোর পথে লোহার রডটি পড়ায় কোনও বাড়তি সমস্যা হয়নি।