VC Appoint Case: উপাচার্য নিয়োগে ‘সুপ্রিম’ হস্তক্ষেপ, সার্চ কমিটি গঠন শীর্ষ আদালতের
VC Appoint Case: রাজ্য সরকার, রাজ্য়পাল, UGC-কে নাম জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এক সপ্তাহের মধ্যে সেই নামের প্রস্তাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানি হবে। একটি সার্চ কমিটি গঠন করবে সুপ্রিম কোর্ট।
নয়া দিল্লি: বাংলার উপাচার্য নিয়োগ বিতর্কে নয়া মোড়। এবার নিয়োগ জট মেটাতে সার্চ কমিটি গঠন করবে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য সরকার, রাজ্য়পাল, UGC-কে নাম জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এক সপ্তাহের মধ্যে সেই নামের প্রস্তাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবারের শুনানিতে বিচারপতিরা রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, যদি আদালত একটি সার্চ কমিটি গঠন করতে চায়, তাহলে তাঁদের কী বক্তব্য। রাজ্য সরকারের তরফে একটি আবেদন করা হয়, তাহলে কমিটিতে কে কে থাকবেন, সেই দায়িত্বও আদালত যেন নেয়। আদালতই দায়িত্ব নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করে দিক। রাজ্যপাল ও UGC-র তরফ থেকেও আইনজীবীরা জানিয়ে দেন, তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট তিন পক্ষকেই বলে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কমিটি তৈরির জন্য তিন থেকে পাঁচ জন বিশেষজ্ঞের প্রস্তাবিত নামের তালিকা তৈরি করতে। সেই প্যানেল থেকেই বিশেষজ্ঞদের কমিটি তৈরি করবে শীর্ষ আদালত। তার ভিত্তিতে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানি হবে। একটি সার্চ কমিটি গঠন করবে সুপ্রিম কোর্ট।
মূলত রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এই সার্চ কমিটি। অর্থাৎ উপাচার্য নিয়োগে পুরো রাশ নিজের হাতে নিল শীর্ষ আদালত। উল্লেখ্য, এর আগের শুনানিতে আদালত স্পষ্ট করে বলে দিয়েছিল, রাজ্যপাল অর্থাৎ চ্যান্সেলর, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে শিক্ষামন্ত্রীকে আলোচনায় বসতে হবে। রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানসূত্র খুঁজে বার করতে হবে। শুক্রবারের শুনানিতে সেই বিষয়টি আবার উত্থাপিত হয়। আদালত এদিনও জানতে চায়, আদৌ রাজ্য সরকার ও রাজ্যপাল এই ধরনের কোনও আলোচনায় বসেছিল কিনা।
রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ভি অভিযোগ করেন, তাঁরা বারবার আলোচনার আবেদন করেছেন, কিন্তু রাজ্যপালের তরফ থেকে কোনও সদুত্তর মেলেনি। এরপর রাজ্যপালের আইনজীবী শীর্ষ আদালতের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়েন। বিচারপতি জানতে চান, আদালতের নির্দেশের পরও কেন রাজ্যপাল আলোচনায় বসেননি? রাজ্যপালের আইনজীবী আবার অভিযোগ করেন, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী প্রকাশ্যে রাজ্যপালকে যে ধরনের মন্তব্য করছেন, তা কখনই কাম্য নয়। যদিও রাজ্যপালের আইনজীবীর এই বক্তব্য গৃহীত হয়নি। আদালত স্পষ্ট করে দেয়, এটা কোনও ব্যক্তিগত অহংয়ের জায়গা নয়। শিক্ষাব্যবস্থাকে সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করতে গেলে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি।