Uttarkashi Tunnel Collapse: আহঃ কী স্বাদ! পোলাও-মটর পনিরে পেট ও মন ভরানো হল আটকে থাকা শ্রমিকদের
Uttarkashi Rescue Work: উদ্ধারকারী দলের তরফে জানানো হয়েছে, এই কয়েকদিন ধরে প্যাকেটজাত খাবার খেয়েছেন আটকে থাকা ৪১ শ্রমিক। সোমবার বিকেলে সুড়ঙ্গে পাইপ স্থাপনের পর থেকেই তাদের গরম খাবার দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে খিচুড়ির পর রাতে ভেজ পোলাও ও মটর পনির পাঠানো হয়েছে।
দেহরাদুন: ১১ দিন ধরে অন্ধকূপে বন্দি। খাবার বলতে কপালে জুটত কখনও তরল খাবার বা কখনও প্যাকেটজাত শুকনো খাবার। অবশেষে ১১ দিন পর মুখে স্বাদ পেলেন উত্তরকাশীর ধসে পড়া নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ৪১ শ্রমিক। তাঁদের জন্য ব্যবস্থা করা হল বিশেষ খাবারের, ভেজ পোলাও আর মটর পনির।
মঙ্গলবার সকালেই দেখা মেলে আটকে থাকা ৪১ শ্রমিকের। পাইপের মধ্যে দিয়ে পাঠানো ক্য়ামেরায় দেখা যায় শ্রমিকদের। হাতের ইশারায় তাঁরা বোঝান, এখনও ঠিক আছেন। ওয়াকি-টকিতে কথা বলে তাদের দ্রুত উদ্ধার করার আশ্বাসও দেন উদ্ধারকারী দল। দুপুরে ওই পাইপের মাধ্যমেই তাদের জন্য বোতলে ভরে গরম খিচুড়ি ও ডালিয়া পাঠানো হয়েছিল। এতদিন পর গরম খাবার পেয়ে, তৃপ্তি ভরে খেয়েছিলেন শ্রমিকরা। রাতে তাদের জন্য করা হল বিশেষ আয়োজন।
#WATCH | Uttarkashi (Uttarakhand) tunnel rescue | Sanjeet Rana, a cook says, “We have cooked veg pulao, mattar paneer, and butter chapati for the people trapped inside. We have packed the food in an accurate portion. The food is less spicy and less oily…” pic.twitter.com/aW6qq3Heyf
— ANI (@ANI) November 21, 2023
উদ্ধারকারী দলের তরফে জানানো হয়েছে, এই কয়েকদিন ধরে প্যাকেটজাত খাবার খেয়েছেন আটকে থাকা ৪১ শ্রমিক। সোমবার বিকেলে সুড়ঙ্গে পাইপ স্থাপনের পর থেকেই তাদের গরম খাবার দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে খিচুড়ির পর রাতে ভেজ পোলাও ও মটর পনির পাঠানো হয়েছে।
উত্তরকাশীর রাস্তার ধারে একটি খাবারের দোকানে কাজ করেন সঞ্জিত রানা। তিনিই আটকে পড়া ৪১ শ্রমিকের জন্য মঙ্গলবার খাবার রান্না করেন। থালায় খাবার ঢালতে ঢালতেই তিনি বলেন, “সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে পড়া শ্রমিকদের জন্য আমরা ভেজ পোলাও, মটর পনির আর ঘি রুটি বানিয়েছি। যথেষ্ট পরিমাণে খাবার প্যাক করা হয়েছে, যাতে কারোর খাবার কম না পড়ে। খাবারে কম তেল ও মশলা দেওয়া হয়েছে।”
হোটেলের মালিক অভিষেক রামোলা বলেন, “১৫০ প্যাকেট খাবার তৈরি করেছি আমরা। আজ পোলাও আর পনির বানিয়েছি। সমস্ত খাবারই চিকিৎসকের কড়া নজরদারিতে রান্না করা হচ্ছে। সহজপাচ্য খাবারই পাঠানো হচ্ছে শ্রমিকদের।”
মঙ্গলবার ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্টাকচার ডেভেলপমেন্ট করেপোরেশনের ডিরেক্টর অংশু মণীশ খুলকো জানান, বোতলে ভরে খিচুড়ি বা ডালিয়ার মতো খাবার পাঠানো যাচ্ছে না, কারণ তা পাইপের মধ্যে আটকে যাচ্ছিল। পরে যদিও তা পাঠানো সম্ভব হয়। বর্তমানে কমলালেবু, কলা ও ওষুধপত্রও পাঠানো হচ্ছে।