Video: শোবার ঘরে প্রেমিকার কাটা মাথা দেখত, সেই আফতাব গারদে কীভাবে কাটাল রাত? দেখুন

CCTV footage of Aaftab: ৫ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে আছে আফতাব পুনাওয়ালা। দক্ষিণ দিল্লির মেহরৌলি থানার লকআপে কেমন কাটল তার রাত? দেখুন সিসিটিভি ফুটেজ।

Video: শোবার ঘরে প্রেমিকার কাটা মাথা দেখত, সেই আফতাব গারদে কীভাবে কাটাল রাত? দেখুন
মেহরৌলি থানার লকআপে রয়েছে আফতাব
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 15, 2022 | 4:25 PM

নয়া দিল্লি: প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পর, ৩৫ টুকরো করে কেটেছিল আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। এই ঘটনা গোটা দেশে শিহরণ জাগিয়েছে। আপাতত ৫ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে আছে সে। দক্ষিণ দিল্লির মেহরৌলি থানার লকআপে রাখা হয়েছে তাকে। ২৮ বছরের এই যুবক লকআপে যাতে কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা না ঘটায়, তার জন্য তাকে সর্বক্ষণ ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ।

লকআপে রাতটা কেমন কাটল এই ভয়ঙ্কর হত্যাকারীর? আফতাবের ‘কীর্তি’ জেনে অনেক ভারতীয়রই রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। তারা বিশ্বাসই করতে পারছেন না, কোনও মানুষ এমনটা করতে পারে। অথচ, সিসি ক্যামেররা ফুটেজে দেখা গিয়েছে, গারদের মধ্যে দিব্যি নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে আফতাব। তার সঙ্গে ওই গারদে রয়েছে আরেক বন্দি। দুই পুলিশ কনস্টেবলকে দেখা গিয়েছে গারদের বাইরে বসে আফতাবের দিকে কড়া নজর রাখতে। মাঝে মাঝে টহল দিয়ে যাচ্ছেন পুলিশ কর্তারাও।

সূত্রের খবর, পুলিশের জেরার মুখে একবারও ভেঙে পড়েনি আফতাব। শ্রদ্ধাকে হত্যার নিয়ে তার মধ্যে সামান্যতমও অনুতাপ দেখা যায়নি। গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে শুধু একবারই সে কান্নায় ভেঙে পড়েছিল। থানায় যখন তার বাবা তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল, তখন আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি সে। কেঁদে ফেলেছিল। ওই একবার বাদ দিলে একেবারেই স্বাভাবিক অবস্থায় আছে সে।

পুলিশ সূত্রে আফতাবের এই ভয়ঙ্কর কাজের আরও বেশ কিছু বিশদ তথ্য জনা গিয়েছে। সোমবারই সে পুলিশের কাছে শ্রদ্ধাকে হত্যাকরার কথা স্বীকার করেছিল। সেই সঙ্গে সে জানিয়েছিল, হত্যার পর প্রেমিকার দেহ সে টুকরো টুকরো করে কেটে একটি রেফ্রিজেটরে রেখে দিয়েছিল। সূত্রের খবর, যে ঘরে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো-টুকরো করেছিল আফতাব, রাতে সেই ঘরেই ঘুমোতো সে। শুধু তাই নয়, শ্রদ্ধার কাটা মাথা সে রেখে দিয়েছিল রেফ্রিজেটরে। মাঝে মাঝে ফ্রিজ খুলে প্রেমিকার কাটা মাথার দিকে তাকিয়ে থাকত সে। ওই একই ফ্রিজে সে খাবার-পানীয়ও রাখত। দেহাংশগুলি ফেলে দেওয়ার পর, ফ্রিজটি পরিষ্কারও করেছিল সে।