Cold Wave Alert: দাপটের সঙ্গে ফিরছে শৈত্যপ্রবাহ, হিমাঙ্কে কাছাকাছি পৌঁছবে তাপমাত্রা, বিশেষ সতর্কতা হাওয়া অফিসের
Weather Update: আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, সোমবার থেকে ফের নতুন করে শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হবে দিল্লি ও সংলগ্ন অঞ্চলের উপর দিয়ে। এই সময়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছতে পারে।
নয়া দিল্লি: জানুয়ারিতেই শীতের বিদায় নয়। আবার জাঁকিয়ে পড়তে চলেছে ঠান্ডা (Winter)। এমনটাই পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর (Weather Update)। পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ, সোমবার থেকে দিল্লি ও সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে শৈত্যপ্রবাহ (Cold Wave) শুরু হতে চলেছে। আগামী তিনদিন, অর্থাৎ বুধবার অবধি এই শৈত্য়প্রবাহ জারি থাকবে। এই সময়ে দিল্লি সহ সংলগ্ন অঞ্চলগুলিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তিন ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে। ঘন কুয়াশা, প্রবল ঠান্ডা থাকবে হরিয়ানা(Haryana), পঞ্জাব (Punjab), উত্তর প্রদেশেও (Uttar Pradesh)। রাজস্থানেও তাপমাত্রা হিমাঙ্কের কাছাকাছি পৌঁছতে পারে বলে জানা গিয়েছে। নতুন করে উত্তুরে হাওয়ার প্রবেশেই তাপমাত্রার এই পতন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিগত কয়েকদিনে দিল্লির তাপমাত্রা সামান্য বাড়তেই মনে করা হয়েছিল, এবার হয়তো শৈত্য়প্রবাহ থেকে মুক্তি মিলতে চলেছে। কিন্তু সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে আবারও ফিরছে শীত। এর আগে গত ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি দিল্লিতে শৈত্যপ্রবাহ হয়েছিল, যা বিগত এক দশকের দ্বিতীয় সর্ব বৃহৎ শৈত্যপ্রবাহ ছিল। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, সোমবার থেকে ফের নতুন করে শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হবে দিল্লি ও সংলগ্ন অঞ্চলের উপর দিয়ে। এই সময়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছতে পারে।
এবারের শীতে চলতি মাসেই ৫০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঘন কুয়াশাও রেকর্ড করা হয়েছে, যা ২০১৯ সালের পর সর্বোচ্চ কুয়াশা। আজ থেকে নতুন করে যে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হচ্ছে, তার জেরে আগামী ৫ দিন রাতে ও ভোরবেলায় পঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি ও উত্ত র প্রদেশ ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ১৭ থেকে ১৮ জানুয়ারি অবধি উত্তর-পশ্চিম ও মধ্য় ভারতের একাধিক অংশে তাপমাত্রার দুই ডিগ্রি পতন হতে পারে। অতি প্রবল শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে রাজস্থান, পঞ্জাব, হরিয়ানা ও দিল্লিতে। এই প্রবল ঠান্ডা থেকে বাঁচতে আবহাওয়া দফতরের তরফে মোটা সোয়েটার, মাথা, গলা, হাত ও পা ঢাকা পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিষাক্ত গ্যাসে যাতে কেউ অসুস্থ না হয়ে পড়েন, তার জন্য হিটার ব্যবহারের সময় ন্যূনতম হাওয়া চলাচলের ব্যবস্থা রাখতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া যথাসম্ভব বাইরে বেরনো এড়িয়ে যাওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।