Howrah violence: সাংবাদিকরা আক্রান্ত, পশ্চিমবঙ্গ সরকার নীরব দর্শক: অনুরাগ ঠাকুর

Anurag Thakur on Howrah violence: শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া, ডালখোলা-সহ বিভিন্ন এলাকায় যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে, তার কড়া সমালোচনা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। একই সঙ্গে, এই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়েরও সমালোচনা করেছেন তিনি।

Howrah violence: সাংবাদিকরা আক্রান্ত, পশ্চিমবঙ্গ সরকার নীরব দর্শক: অনুরাগ ঠাকুর
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (ফাইল ছবি)Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 31, 2023 | 9:23 PM

নয়া দিল্লি: শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া, ডালখোলা-সহ বিভিন্ন এলাকায় যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে, তার কড়া সমালোচনা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। একই সঙ্গে, এই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়েরও সমালোচনা করেছেন তিনি। অনুরাগ ঠাকুরের অভিযোগ, বিভিন্ন এলাকায় যখন উত্তেজনা ছড়াচ্ছে, সেই সময় “নিঃশব্দ দর্শকের” ভূমিকায় ছিল বাংলার সরকার। এই উত্তেজনা প্রশমনে রাজ্য সরকারের প্রতিক্রিয়া ‘লজ্জাজনক’ বলেছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই হাওড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বেশ কিছু দোকানে ভাঙচুরও করা হয়। উত্তেজনার মধ্যে পড়ে বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও আক্রান্ত আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, যারা প্রায়শই সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা বলেন, তারা এখন নীরব কেন?

অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, “পাথর ছোড়া, অগ্নিসংযোগ, বোমা নিক্ষেপ – এই সব বাংলায় এখন সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। যেভাবে সাংবাদিকদের উপর হামলা করা হয়েছে এবং পাথর ছোড়া হয়েছে, তার চেয়ে লজ্জাজনক আর কিছু হতে পারে না। সাংবাদিকদের উপর হামলা বরদাস্ত করা যায় না। কিন্তু, যারা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলেন তারা কেন নীরব? যখন সাংবাদিকরাও হিংসার শিকার হন এবং রাষ্ট্র নীরব দর্শক হয়ে থাকে, তখন সেই ঘটনার যত নিন্দাই করা হোক না কেন, তা পর্যাপ্ত হবে না।” তিনি আরও জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা রাজ্য সরকারের দায়িত্ব। পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। কাজেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা লঙ্ঘিত হলে, তার দায় ঘাসফুল শিবিরের উপরই বর্তায়।

এদিন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ফোন করে রাজ্যের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ খবর নেন। সুকান্ত মজুমদারও রাজ্যের পরিস্থিতি জানিয়ে অমিত শাহকে একটি চিঠি দিয়েছেন। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সিকে দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন তিনি।