Adhir Chowdhury: রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় হস্তক্ষেপ করুন, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি অধীরের

Adhir Chowdhury writes letter to President: বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ইন্ডিয়া জোটের শরিক। তবে অধীর চৌধুরী বরাবরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব। লোকসভা ভোটের প্রচারেও তৃণমূলকে বারবার নিশানা করেছেন তিনি। ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূল থাকলেও রাজ্যে যে তিনি সরব হবেন, সে কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন একাধিকবার। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে এবার সরব হলেন।

Adhir Chowdhury: রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় হস্তক্ষেপ করুন, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি অধীরের
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখলেন অধীর চৌধুরী।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 27, 2024 | 10:38 PM

কলকাতা ও দিল্লি: তিনি প্রাক্তন সাংসদ। ২৫ বছর বহরমপুরের সাংসদ ছিলেন। কিন্তু, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে হেরে গিয়েছেন। এখনও অবশ্য পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি তিনি। বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হন। এবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখলেন অধীর চৌধুরী। সন্দেশখালির ঘটনা থেকে মুর্শিদাবাদে হিংসার কথা তুলে ধরলেন। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপও দাবি করলেন চিঠিতে।

বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ইন্ডিয়া জোটের শরিক। তবে অধীর চৌধুরী বরাবরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব। লোকসভা ভোটের প্রচারেও তৃণমূলকে বারবার নিশানা করেছেন তিনি। ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূল থাকলেও রাজ্যে যে তিনি সরব হবেন, সে কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন একাধিকবার। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে এবার সরব হলেন।

শনিবার রাষ্ট্রপতিকে দু’পাতার চিঠি পাঠিয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। সেই চিঠিতে তিনি লেখেন, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে বিরোধী দলগুলির কর্মী সমর্থকদের উপর আক্রমণ শুরু হয়। এর ফলে অনেক নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু হয়। বিরোধী কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতার করা হয়। সন্দেশখালি ও মুর্শিদাবাদের হিংসার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন অধীর। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অভিযোগ করেন, ভোট মেরুকরণের জন্য এই হিংসা করানো হয়েছে।

ভোটের পরও হিংসা জারি রয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি। সম্প্রতি জলপাইগুড়িতে মানিক রায় নামে এক কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুনের কথা চিঠিতে লিখেছেন অধীর। তাঁর অভিযোগ, ওই কংগ্রেস কর্মীকে গাছে বেঁধে পিটিয়ে খুন করেছে তৃণমূল কর্মীরা। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ।

রাষ্ট্রপতি চিঠি পাঠানো নিয়ে অধীর বলেন, “নির্বাচনের আগে যা ঘটেছে তা আমরা জানি। কোনও ভোটই করতে দেওয়া হয় না। ভোটের পর অন্য অত্যাচার শুরু হয়েছে। আমাদের সব নেতা, পঞ্চায়েত সদস্যদের জোর করে দলত্যাগ করানো হচ্ছে। শুধু কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া হয়েছে, সেই অভিযোগে চাকরি যাচ্ছে গ্রুপ-ডি কর্মীদের। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হামলা হচ্ছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে জানালে লাভ হয় না। পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী বলে কাউকে রাখতে চাইছে না তৃণমূল। তাই রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি।” মুখ্যমন্ত্রীর নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেওয়া নিয়েও কটাক্ষ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।