টিকা নেওয়ার পর নার্সদের কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) যে আজ টিকা নেবেন, একথা জানতেনই না বাকিরা। সিস্টার পি নিবেদা বলেন, "আমি ভ্যাকসিন সেন্টারের দায়িত্বে ছিলাম। আজ সকালে আমায় আচমকাই ডাকা হয়, তখনই জানতে পারি যে প্রধানমন্ত্রী স্যার আসছেন।"
নয়া দিল্লি: করোনার গণটিকাকরণের দ্বিতীয় দফায় প্রবেশ করল দেশ। প্রথমদিনেই টিকা নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)। সোমবার সকালেই দিল্লির এইমস(AIIMS)-এ পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী, তাঁর পরনে ছিল সাদা কুর্তা, গলায় ঝুলছিল অসমের মহিলাদের তরফে উপহার দেওয়া গামছা। কেরল ও পুদুচেরির দুই নার্সের তত্বাবধানে টিকা নেন তিনি।
সাধারণত যেকোনও টিকা নিতেই অনেকে ভয় পান, তবে করোনা টিকা নিতে একটুও নাকি ভয় পাননি প্রধানমন্ত্রী, এমনটাই দাবি টিকাদাতা নার্সের। প্রধান নার্স পি নিবেদা জানান, টিকা দেওয়ার পর বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। হাতে সূচ ফোটানোর পর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “টিকা দিয়েও দিলেন, এদিকে বুঝতেও পারলাম না।”
প্রধানমন্ত্রী যে আজ টিকা নেবেন, একথা জানতেনই না বাকিরা। সিস্টার পি নিবেদা বলেন, “আমি ভ্যাকসিন সেন্টারের দায়িত্বে ছিলাম। আজ সকালে আমায় আচমকাই ডাকা হয়, তখনই জানতে পারি যে প্রধানমন্ত্রী স্যার আসছেন। ওনার সঙ্গে দেখা করতে পেরে খুবই খুশি।” ২৮দিন পর প্রধানমন্ত্রীকে কোভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন নিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী, দেখে নিন সেই মুহূর্তের এক্সক্লুসিভ ছবি
টিকাকরণের সময় উপস্থিত ছিলেন কেরলের নার্স রোসাম্মা অনিলও। তিনিও জানান, প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ বেশ চমকপ্রদই ছিল। টিকা নেওয়ার পর তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলেন, আমাদের বাড়ি কোথায়, সেই বিষয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, “ওনার সঙ্গে কথা বলে খুব ভাল লাগল। টিকা নেওয়ার সময় তিনি একটুও অপ্রস্তুতবোধ করেননি।
নার্সরা যাতে টিকা দেওয়ার সময় ভয় না পান, সেই কারণে তাঁদের সঙ্গে ইয়ার্কিও করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “রাজনীতিবিদদের চামড়া তো মোটা হয়। পশুদের ইঞ্জেকশন দিতে যে মোটা সূচ ব্যবহার করা হয়, আপনারা কি সেটাই ব্যবহার করবেন?”
আজ সকালে টিকা নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নিজেই টুইট করে লেখেন, “এইমসে প্রথম করোনা টিকা নিলাম।করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের চিকিৎসক ও বৈজ্ঞানিকরা নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। এই দফায় যাঁদের ভ্যাকসিন নেওয়ার কথা, তাঁরা অবশ্যই ভ্যাকসিন নিন। আসুন সবাই মিলে ভারতকে করোনা মুক্ত করে তুলি।”
তৃতীয় দফার টিকাকরণ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ছাড়পত্র পাওয়ায় কোভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। ফলে কিছুটা বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে গণটিকাকরণ প্রক্রিয়া। সাধারণ মানুষের মন থেকে টিকা নিয়ে সংশয় দূর করতে তিনি নিজেই কোভ্যাকসিনের টিকা নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রথম দফায় টিকাকরণ শুরু হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী দেশের নেতা-মন্ত্রীদের বলেছিলেন, তাঁরা যেন টিকা নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি না করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি নিজেই জানান, দ্বিতীয় দফায় টিকাকরণের সময়ই টিকা পাবেন দেশের সকল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য নেতা-মন্ত্রীরা।
আরও পড়ুন: দেশীয় ভ্যাকসিন নিয়ে করোনামুক্ত দেশ গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর