আরটিপিসিআর রিপোর্ট নেগেটিভ? তাও ঘাপটি মেরে বসে থাকতে পারে করোনা
পরীক্ষার নমুনা সঠিক পদ্ধতিতে সংগ্রহ হচ্ছে না, তাই করোনা (COVID) পজিটিভ ব্যক্তিরও করোনা নেগেটিভ আসছে।
নয়া দিল্লি: করোনা (COVID) পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট, কিন্তু রোগীক দেহে উপসর্গ রয়েছে। আরটি পিসিআর পরীক্ষা করেও পজিটিভ রিপোর্ট আসছে না। তাহলে কি ভাইরাস আরটিপিসিআর রিপোর্টকেও ফাঁকি দিচ্ছে? এই প্রশ্নই উঠে আসছে একাধিক করোনা সংক্রমণের ঘটনায়। কিন্তু কেন এমনটা হচ্ছে? তাহলে কি স্ট্রেন আরটিপিসিআর পরীক্ষাতেও ধরা পড়ছে না! যদিও কেন্দ্রীয় সরকার বারবার জানিয়েছেন, এমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি যেখান থেকে বলা যায়, ব্রিটেন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা বা ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন আরটিপিসিআর পরীক্ষায় শনাক্ত হচ্ছে না।
এ ক্ষেত্রে উঠে আসছে একাধিক সম্ভাবনার কথা। চিকিৎসকদের একাংশ বলছেন যাঁরা করোনা পীরক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করছেন, তাঁদের অনেকেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয়। তাই করোনা পরীক্ষার নমুনা সঠিক পদ্ধতিতে সংগ্রহ হচ্ছে না, তাই করোনা পজিটিভ ব্যক্তিরও করোনা নেগেটিভ আসছে। অন্যদিকে ধরুন কোনও ব্যক্তি করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এলেন, সন্দেহভাজর হয়ে করোনা পরীক্ষা করালেন কিন্তু রিপোর্ট নেগেটিভ এল।
তার কারণ হতে পারে, সংস্পর্শে আসার পর ওই ব্যক্তির শরীরে ভাইরাস প্রভাব বিস্তার করার আগেই করোনা পরীক্ষা হয়েছে। তাই আগে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। পরবর্তীকালে ভাইরাস শরীরে প্রভাব বিস্তার করার পর উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তারপর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তাই চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, উপসর্গ থাকলে প্রথম বার করোনা নেগেটিভ এলে ফের দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করা উচিত।
চিকিৎসকদের মতে, কোনও করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে আরেক ব্যক্তির শরীরে করোনা থাবা বসাতে পারে। এর জন্য ৫-১৪ দিন ইনকিবেশন পিরিয়ড থাকে। তাই করোনার আরটিপিসিআর পরীক্ষা করার সঠিক সময় হল সপ্তম দিন। কারণ এর মধ্যেই সাধারণত ভাইরাস মানবদেহে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। উপসর্গ দেখা দিতে পারে সংক্রমিত হওয়ার ৫-১০ দিন পরেও। তাই প্রথম বার করোনা নেগেটিভ এলে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, নিশ্চিত হওয়ার জন্য কয়েকদিন পর ফের দ্বিতীয়বার করোনা পরীক্ষা করা উচিত।
আরও পড়ুন: ভিডিয়ো: ‘পালাতে পারলে বাঁচি’, করোনা পরীক্ষা এড়াতে হুড়মুড়িয়ে দৌড় রেলযাত্রীদের