‘স্বেচ্ছায় স্থগিত রাখা হয়েছে গোপনীয়তা নীতি’, কেন্দ্রকে আগে আইন প্রণয়নের সুযোগ দিতে চায় হোয়াটসঅ্যাপ

WhatsApp Privacy Policy: গত ফেব্রুয়ারি মাসেই হোয়াটসঅ্যাপ তাদের গোপনীয়তা নীতি আপডেট করে। ফেসবুকের মালিকানাধীন ওই মেসেজিং অ্যাপের তরফে জানানো হয়, তাদের নতুন নীতিতে গ্রাহকরা সম্মতি না জানান, তবে পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে।

'স্বেচ্ছায় স্থগিত রাখা হয়েছে গোপনীয়তা নীতি', কেন্দ্রকে আগে আইন প্রণয়নের সুযোগ দিতে চায় হোয়াটসঅ্যাপ
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 09, 2021 | 3:11 PM

নয়া দিল্লি: নতুন গোপনীয়তা নীতি (Privacy Policy) মানতে বাধ্য করা হবে না ব্যবহারকারীদের, শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টে এমনটাই জানাল হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) কর্তৃপক্ষ। যতদিন কেন্দ্র তথ্য সুরক্ষা আইন (Data Protection Act) লাগু না হওয়া অবধি তারা নিজেদের গোপনীয়তা নীতি গ্রাহকদের উপর চাপিয়ে দেবে না। যারা হোয়াটসঅ্যাপের নতুন গোপনীয়তা নীতি বা প্রাইভেসি পলিসি স্বীকার করেননি, তাদের পরিষেবাও অব্যাহতই থাকবে।

এ দিন দিল্লি হাইকোর্টে হোয়াটসঅ্যাপের তরফে উপস্থিত আইনজীবী হরিশ সালভে বলেন, “হোয়াটসঅ্যাপ স্বেচ্ছায় নিজেদের নতুন নীতিকে স্থগিত রেখেছে। আমরা কাউকে এই নীতি মানার জন্য জোর করব না”। যদিও ব্যবহারকারীদের কাছে এখনও এই আপডেটের নোটিফিকেশন দেখানো হবে।

সম্প্রতিই কম্পিটিশন কমিশন অব ইন্ডিয়া(Competition Commission of India)-র তরফে হোয়াটসঅ্যাপ ও এর মালিক ফেসবুকের নীতি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়। গত মাসেই দুই সংস্থাকে তাদের গোপনীয়তা নীতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পরই আদালতের দ্বারস্থ হয় দুই সংস্থা। গত ২৩ জুন সেই মামলায় খারিজ করে দেয় আদালত। এ দিন সিসিআই-র তদন্তের নির্দেশের বিরোধিতা করে আইনজীবী হরিশ সালভে বলেন, “সিসিআই যে নীতি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে, তা ইতিমধ্যেই স্থগিত রাখা হয়েছে। যদি সংসদ তথ্য সুরক্ষা আইনের অধীনে তথ্য ফেসবুকের সঙ্গে ভাগ করে দেওয়ার অনুমতি দেয়, তবে সিসিআই এই বিষয়ে কোনও তদন্ত করতে পারবে না। কেন্দ্রের তথ্য সুরক্ষা বিল আইনে পরিণত না হওয়া অবধি আমাদের গোপনীয়তা নীতি প্রয়োগ স্থগিত রাখা হয়েছে।”

গত ফেব্রুয়ারি মাসেই হোয়াটসঅ্যাপ তাদের গোপনীয়তা নীতি আপডেট করে। ফেসবুকের মালিকানাধীন ওই মেসেজিং অ্যাপের তরফে জানানো হয়, তাদের নতুন নীতিতে গ্রাহকরা সম্মতি না জানান, তবে পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে। কিন্তু ফেসবুকের সঙ্গে তথ্য ভাগ করে নেওয়া ঘিরে বিতর্ক শুরু হয় ও বহু ব্যবহারকারীরা গোপনীয়তাকর প্রশ্নে হোয়াটসঅ্য়াপ ছেড়ে টেলিগ্রাম অ্যাপ ব্যবহার শুরু করেন। কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের পরই ১৫ মে অবধি পিছিয়ে যায় নীতি কার্যকরের দিনক্ষণ। এরপর ফের এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয় সেই ডেডলাইনও।

অন্যদিকে, কেন্দ্রের তথ্য প্রযুক্তি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে হোয়াটসঅ্যাপ গোপনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং একটি মামলা দায়ের করে। এরপরই গত মাসে কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লি হাইকোর্টকে জানায়, ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের নতুন নীতি মেনে নিতে বাধ্য করার চেষ্টা করছে। ব্যবহারকারীদের কী কী এবং কোন ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, তা জানাতে ব্যর্থ হোয়াটসঅ্যাপের গোপনীয়তা নীতি। তারা ব্যবহারকারীদের সংগৃহীত তথ্য যাচাই বা বাদ দেওয়ার সুযোগ অবধিও দেয় না।

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে আনারস উপহার পাঠাবেন বিপ্লব দেব