Dheeraj Sahu: ব্যাঙ্কেও এত টাকা থাকে না, যা আছে শুধু আলমারিতেই, কে এই কংগ্রেস সাংসদ?
Income Tax Raid: চলতি সপ্তাহের বুধবার কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ধীরজ সাহুর ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার বাড়িতে হানা দেয় আয়কর দফতর। তল্লাশির প্রথম দিনেই আলমারি ও বাক্স থেকে বান্ডিল বান্ডিল টাকা উদ্ধার হয়। এখনও অবধি ২৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে তাঁর বাড়ি থেকে। এরপর একে একে সাংসদের সহকারীদের বাড়িতেও হানা দেয় আয়কর আধিকারিকরা।
রাঁচি: পেল্লাই আলমারি। দরজা খুলতেই হা আয়কর আধিকারিকরা। আলমারির সমস্ত তাক ভর্তি, তাতে পোশাক বা অন্য কিছু নয়, শুধু থরে থরে সাজানো টাকা। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ধীরজ সাহুর (Dheeraj Sahu) বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এমনটাই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। টাকার পরিমাণ এতটাই বেশি যে আয়কর আধিকারিকদের আনা টাকা গোনার মেশিনও (Counting Machine) বিকল হয়ে যাচ্ছে। ভিন রাজ্য থেকে টাকার মেশিন জোগাড়ের চেষ্টা করছে আয়কর দফতর (Income Tax)। তিনদিন বাদে এখনও জারি রয়েছে তল্লাশি অভিযান। আজ, শনিবার সকালেও বস্তা বস্তা টাকা উদ্ধার করা হয় কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে। উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ইতিমধ্যেই ২৯০ কোটি পার করেছে। আজকের মধ্যেই তা ৩০০ কোটি পার করবে। কিন্তু কে এই সাংসদ? কোথা থেকেই বা তাঁর কাছে এত টাকা এল?
চলতি সপ্তাহের বুধবার কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ধীরজ সাহুর ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার বাড়িতে হানা দেয় আয়কর দফতর। তল্লাশির প্রথম দিনেই আলমারি ও বাক্স থেকে বান্ডিল বান্ডিল টাকা উদ্ধার হয়। এখনও অবধি ২৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে তাঁর বাড়ি থেকে। এরপর একে একে সাংসদের সহকারীদের বাড়িতেও হানা দেয় আয়কর আধিকারিকরা। বান্টি সাহু নামক এক ঘনিষ্ঠ সহকারীর বাড়ি থেকেও এখনও অবধি ২০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। আরও ৯ বস্তা টাকা গোনা বাকি। আয়কর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িশার একটি মদ প্রস্তুতকারক সংস্থা ও তার সঙ্গে যুক্ত নানা দোকানে আয় বহির্ভূত সম্পত্তির সূত্র ধরেই এই অভিযান চালানো হয়। ঝাড়খণ্ডের বোকারো ও রাঁচিতে অভিযান চালানো হচ্ছে। এছাড়া ওড়িশার সম্বলপুর ও সুন্দরগড়েও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ঝাড়খণ্ডের সাংসদ ধীরজ সাহু এই দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বলে অভিযোগ।
This is not the bank’s strong room; it’s Congress MP Dheeraj Sahu’s office, from where Rs 200 Crore cash was recovered during an Income Tax Department raid. While counting the money, two counting machines broke down, and 157 bags were used to transfer the cash into trucks. pic.twitter.com/MSRZk3Ebpc
— Gagandeep Singh (@Gagan4344) December 8, 2023
কে ধীরজ সাহু?
২০১০ সাল থেকে ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ পদে রয়েছেন ধীরজ সাহু। ধীরজের মা-বাবা সমাজকর্মী ছিলেন। তাঁর পরিবারও কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তাঁর ভাইও সাংসদ। তবে পেশায় ধীরজ শিল্পপতি। ১৯৭৭ সালে রাজনীতিতে যোগ দেন ধীরজ। ১৯৭৮ সালে জেল ভরো আন্দোলনের সময় গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। শিকার করতে ভালবাসেন কংগ্রেস সাংসদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর একাধিক ছবিও রয়েছে বন্দুক হাতে।
বৌধ ডিস্টিলারিজ নামক একটি সংস্থারই শাখা সংগঠন বলদেব সাহু ইনফ্রা প্রাইভেট লিমিটেড। বৌধ ডিস্টিলারিজ মূলত বিদেশি মদ বোতলে ভরা ও সিল করে বাজারে পাঠানোর কাজ করে। এই কোম্পানির আর্থিক বেনিয়মের সূত্র ধরেই আয়কর আধিকারিকরা অভিযান চালায়। সেখানেই ধীরজ সাহুর নাম উঠে আসে। জানা যায়, ওই সংস্থার সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদের। বৌধ ডিস্টিলারিজের একাধিক শাখা প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর পদে রয়েছেন ধীরজ সাহু।
বিজেপির আক্রমণ-
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও বলেন, “এই কারণেই সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী নোটবন্দির বিরুদ্ধে বলেন। এখনও টাকা গোনা চলছে, এদিকে টাকা গোনার মেশিন বিকল হয়ে যাচ্ছে। আধিকারিকরা ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছেন। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে টাকা ভরতে ব্যাগ কম পড়ে যাচ্ছে, কিন্তু টাকার বান্ডিল শেষ হচ্ছে না। কংগ্রেস, দুর্নীতি ও ক্যাশ-সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেন, “কংগ্রেসকে বলতেই হবে যে এই কংগ্রেস সাংসদ কার এটিএম? মহব্বত কি দুকানে কীভাবে দুর্নীতি চলছে?”।