Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Heart Attack Risk in Young Age: অল্পবয়সীদের মধ্যে কেন বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি? এই একটা ভুলই নিঃশব্দে ডেকে আনছে বিপদ

WITT 2025: অল্পবয়সীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি নিয়ে ডঃ ওয়াধওয়ানি বলেন, "এখন ৫০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে হৃদরোগ দেখা দিচ্ছে। আমার কাছে হার্ট সার্জারির জন্য আসা অর্ধেকেরও বেশি রোগীর বয়স ৫০ বছরের কম। এটা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়।"

Heart Attack Risk in Young Age: অল্পবয়সীদের মধ্যে কেন বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি? এই একটা ভুলই নিঃশব্দে ডেকে আনছে বিপদ
কেন অল্পবয়সীদের মধ্যে বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি?Image Credit source: TV9 ভারতবর্ষ
Follow Us:
| Updated on: Mar 29, 2025 | 5:17 PM

নয়া দিল্লি: স্বাস্থ্যই সম্পদ। এই কথা বহু প্রচলিত, কিন্তু কতজনই বা গুরুত্ব দেন তাতে? সম্প্রতিই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অল্পবয়সীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। কেন এরকম হচ্ছে? TV9 নেটওয়ার্কের আয়োজিত  “হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে” কনক্লেভে এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন ফর্টিস হাসপাতালের কার্ডিও থোরাসিক ভাস্কুলার সার্জারি বিভাগের ডিরেক্টর ও প্রধান ডঃ মহেশ ওয়াধওয়ানি।

অল্পবয়সীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি নিয়ে ডঃ ওয়াধওয়ানি বলেন, “এখন ৫০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে হৃদরোগ দেখা দিচ্ছে। আমার কাছে হার্ট সার্জারির জন্য আসা অর্ধেকেরও বেশি রোগীর বয়স ৫০ বছরের কম। এটা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। খারাপ জীবনযাত্রা হৃদরোগ বৃদ্ধির একটি প্রধান কারণ। মানুষের ঘুমানো এবং ওঠার কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। দেরি করে ঘুমানোর অভ্যাস শরীরকে অসুস্থ করে তুলছে। খারাপ জীবনযাত্রার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসও খারাপ হয়ে গেছে। মানুষ এখন ফাস্ট ফুড খেতে বেশি পছন্দ করে। খাদ্যতালিকায় চিনি, লবণ এবং ময়দার পরিমাণ বাড়ছে। যা অল্প বয়সে হৃদরোগের কারণ হয়ে উঠছে।”

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে ডঃ ওয়াধওয়ানি বলেন, “মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা দরকার, কিন্তু এদিকে কোনও মনোযোগ করা হচ্ছে না। রোগের সংখ্যা ও পরিধি বাড়ছে। ডায়াবেটিসও হৃদরোগের অন্যতম কারণ।  ভারতে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডায়াবেটিসের কারণে হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা ব্যাহত হতে পারে, যার ফলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।”

অ্যাপোলো হাসপাতালের এন্ডোক্রিনোলজিস্ট এবং ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডাঃ এস কে ওয়াংনুও অনুষ্ঠানে তাঁর মতামত রাখেন। তিনি বলেন, “ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যার লক্ষণ শুরুতে দেখা যায় না। যখন মানুষের সাথে এটি ঘটে, তখন তারা এটি সম্পর্কে জানতে পারে। এটি শরীরের প্রায় প্রতিটি অংশকে প্রভাবিত করে। এটি হৃদপিণ্ডের উপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলে। সঠিক সময়ে পরীক্ষা করা প্রয়োজন। ডায়াবেটিস শনাক্ত করার সর্বোত্তম উপায় হল আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করা। মাসে একবার বা দুবার এটি করলে শরীরে শর্করার মাত্রা জানা যাবে। ডায়াবেটিস শনাক্ত করার জন্য Hb1ac পরীক্ষা খুবই ভালো। এটি একটি সাধারণ পরীক্ষা যা আপনি সহজেই সম্পন্ন করতে পারেন।”

ডাঃ ওয়াংনু বলেন, “যাদের পরিবারের সদস্যদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের মধ্যে স্থূলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদি জীবনযাত্রা খারাপ হয় এবং কেউ ধূমপান করে, তাহলে এই ধরনের লোকদের অবশ্যই এই পরীক্ষা করা উচিত। এই ধরনের লোকদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি থাকে। এই পরীক্ষাটি করালে, সময়মতো রোগ ধরা পড়বে। ওষুধ এবং জীবনযাত্রার উন্নতির মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে যাবে।”