Bus Conductor Love: কনডাকটরের সঙ্গে বাসেই প্রেম, গর্ভে যখন সন্তান আসার পর জানতে পারলেন স্বামী আসলে সুরেশ নয় তউসিফ
Bus Conductor Love: স্বামীর মৃত্যুর পর একা হয়ে পড়েছিলেন মধ্যবিত্ত পরিবারের ওই মহিলা। তিনি কর্মসূত্রে মেঘনীনগর এলাকা থেকে এএমটিএস বাসে চেপে লাল দরওয়াজা নামে একটি জায়গায় যেতেন। একজন কম্পিউটার অপারেটর ছিলেন ওই মহিলা। এরই মধ্যে এএমটিএস বাসের কনডাকটরের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর।
আমেদাবাদ: পরিচয় গোপন করে প্রথমে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন যুবক, তারপর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন মহিলাষ এরপর সামনে আসে আসল পরিচয়। গুজরাটের আহমেদাবাদে ঘটছে ঘটনাটি। অভিযোগ, ওই মহিলার একাকীত্বের সুযোগ নিয়েই এই কাজ করেন ওই যুবক। পরে আসল ঘটনা জানতে পেরে আত্মহত্যা পর্যন্ত করতে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। পরে যুবকের মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতা। পুলিশ অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়েছে। লাভ জিহাদের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
আজ তক-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, স্বামীর মৃত্যুর পর একা হয়ে পড়েছিলেন মধ্যবিত্ত পরিবারের ওই মহিলা। তিনি কর্মসূত্রে মেঘনীনগর এলাকা থেকে এএমটিএস বাসে চেপে লাল দরওয়াজা নামে একটি জায়গায় যেতেন। একজন কম্পিউটার অপারেটর ছিলেন ওই মহিলা। এরই মধ্যে এএমটিএস বাসের কনডাকটরের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। কনডাকটর নিজেকে সুরেশ বলে পরিচয় দেন ও মহিলার সঙ্গে আলাপ জমান।
কনডাকটর মহিলাকে তাঁর ফোন নম্বর দিয়েছিলেন এবং তাঁকে বলেছিলেন কখনও কিছু দরকার হলে তাঁকে জানাতে। এরপরই দুজনের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়। ওই মহিলা কনডাকটরের প্রেমে পড়ে যান।
পুলিশ জানাচ্ছে, বাস কনডাকটর ওই মহিলাকে আমেদাবাদের জুহাপুরে তাঁর এক পরিচিত ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে যান। বিয়ে করে মহিলার সঙ্গে থাকতেও শুরু করেন। এই সময় ওই মহিলা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। কিছুদিন পর তিনি জানতে পারেন যে তিনি প্রতারিত হয়েছেন। তিনি যাঁর প্রেমে পড়েছেন তিনি আসলে সুরেশ নন, তিনি তউসিফ। শুধু তাই নয়, তউসিফ বিবাহিত এবং সন্তানের বাবাও বটে। এসব জেনেই আত্মহত্যা করতে যান ওই মহিলা।
আত্মহত্যা করতে গেলে তাঁকে উদ্ধার করেন আশপাশের লোকজন। এরপর পুরো বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। আক্রান্তের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা হয়েছে। আপাতত পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন তউসিফ।