COVID-19 Deaths: করোনায় ভারতে সর্বাধিক মৃত্যু হয়নি, WHO-র অঙ্কে গরমিল ধরাল কেন্দ্র

COVID-19 Deaths: দেশের সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের তথ্য উল্লেখ করে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এই তথ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই তথ্যকে উপেক্ষা করেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিজস্ব পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে অতিরিক্ত মৃতের সংখ্যা প্রকাশ করেছে।

COVID-19 Deaths: করোনায় ভারতে সর্বাধিক মৃত্যু হয়নি,  WHO-র অঙ্কে গরমিল ধরাল কেন্দ্র
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 06, 2022 | 8:51 AM

নয়া দিল্লি: বিগত দুই বছরে মারণ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন কয়েক লক্ষ কোটি মানুষ। করোনা (COVID-19) সংক্রমণ প্রাণ কেড়েছে  (COVID Deaths) কয়েক কোটি মানুষেরও। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organization) তরফে বিশ্বে করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়। আর এই তথ্য নিয়েই বিরোধ বেধেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Health Ministry) দাবি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তার সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই। দেশে জন্ম ও মৃত্যুর নথিভুক্ত করার নির্দিষ্ট ব্যবস্থা রয়েছে।  হু যে পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করেছে, তা পরিসংখ্যানগতভাবে অযৌক্তিক ও বৈজ্ঞানিকভাবে যথেষ্ট প্রশ্নও উঠছে।

বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর অবধি করোনায় মৃতের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, বিশ্বের মধ্যে ভারতেই করোনায় সর্বাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ওই এক বছরের সময়সীমায় ৪৭ লক্ষ অতিরিক্ত মৃত্যু হয়েছে, যা কেন্দ্রের প্রকাশিত তথ্যে উল্লেখ নেই। কেন্দ্রের প্রকাশিত তথ্যের প্রায় ১০ গুণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত মৃতের তথ্য। বিশ্বে করোনায় মৃতের পরিসংখ্যানেও একইভাবে গরমিল খুঁজে পেয়েছে হু। যেখানে বিশ্বের পরিসংখ্যানে ২০২০-২১ সালে করোনায় ৬০ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর উল্লেখ করা হয়েছে, সেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, আসল মৃতের সংখ্যা ১.৫ কোটি।

হু-র দাবি, ২০২০ সালে ভারতে ৪,৭৪,৮০৬ অতিরিক্ত মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এই তথ্যের জবাবে বলা হয়, “ভারত ক্রমাগত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। গাণিতিক পদ্ধতিতে যেভাবে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, তা পরিসংখ্যানগতভাবে অযৌক্তিক এবং বৈজ্ঞানিকভাবে যথেষ্ট প্রশ্ন উদ্রেক করে। ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও এই পদ্ধতিতেই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।”

দেশের সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের তথ্য উল্লেখ করে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এই তথ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই তথ্যকে উপেক্ষা করেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিজস্ব পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে অতিরিক্ত মৃতের সংখ্যা প্রকাশ করেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনাকালে মৃত্যু ও সংক্রমণ আসার আগে যত সংখ্যক মৃত্যু হয়েছিল, তার সংখ্যার সঙ্গে তুলনা করে অতিরিক্ত মৃতের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে। সরাসরি করোনা সংক্রমণের কারণে ও পরোক্ষাভাবে সংক্রমণের কারণে মৃত্যুর পাশাপাশি. প্যান্ডেমিকের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর প্রভাবের জেরে যত সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, সেগুলিকেও অতিরিক্ত মৃতের সংখ্য়ার মধ্য়ে ধরা হয়েছে।

একাধিক দেশে নির্ভরযোগ্য নজরদারি ও তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি অবলম্বন না করায়, অতিরিক্ত মৃতের সংখ্যা গণনা করা হয়নি বলেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গাণিতিক মডেলে তথ্য সংগ্রহ করেছে বলেও জানানো হয়েছে।