PM Modi’s Meeting on Heatwave: শুনলেন গরম বাড়ার কারণ, আসন্ন বর্ষা নিয়ে রাজ্যগুলিকে বিশেষ নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
PM Modi's Meeting on Heatwave: প্রধানমন্ত্রী যাবতীয় বিবৃতি শুনে নির্দেশ দিয়েছেন যে তাপপ্রবাহ বা অগ্নিকাণ্ডের জেরে যাতে কোনও প্রাণহানি না হয়, তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এই ধরনের কোনও ঘটনা বা বিপর্যয় ঘটে, তবে তা মোকাবিলায় যাতে ন্যূনতম সময় খরচ করা হয়, তা নিশ্চিত করতেও বলেন।
নয়া দিল্লি: বিগত এক মাসে দেশের যেকোনও প্রান্তেই টের পাওয়া গিয়েছে তাপপ্রবাহের (Heatwave)। তাপমাত্রার ঊর্ধ্বমুখী পারদের জেরে গরমে হাঁসফাঁস করেছেন সাধারণ মানুষ। তবে গত সপ্তাহ থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে ঝড়-বৃষ্টির দেখা মেলায়। কিন্তু তাপমাত্রা নিয়ে উদ্বেগ এখনও কাটছে না। আগামী সপ্তাহ থেকে ফের দেশের বেশ কিছু রাজ্যে তাপপ্রবাহ বইতে পারে বলে সতর্ক করেছে হাওয়া অফিস। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনা ও সাধারণ মানুষের তার জেরে সমস্য়া নিয়েই বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সরকারি সূত্রে খবর, তাপপ্রবাহ বা প্রচণ্ড গরমে অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনায় যাতে প্রাণহানি না ঘটে, তার জন্য যথাসম্ভব পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে আসন্ন বর্ষাকাল নিয়েও কেন্দ্রকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন নমো।
বুধবারই তিনদিনের ইউরোপ সফর শেষ করে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। পরেরদিনই তিনি একাধিক বিষয় নিয়ে দফায় দফায় বৈঠকে বসেন। এরমধ্যে অন্যতম ছিল দেশে প্রচণ্ড গরম ও আসন্ন বর্ষাকালের প্রস্তুতি। গতকালের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকেরা। প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের মার্চ থেকে মে অবধি দেশে উচ্চ তাপমাত্রা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করেছেন তারা।
প্রধানমন্ত্রীর দফতরের বিবৃতি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী যাবতীয় বিবৃতি শুনে নির্দেশ দিয়েছেন যে তাপপ্রবাহ বা অগ্নিকাণ্ডের জেরে যাতে কোনও প্রাণহানি না হয়, তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এই ধরনের কোনও ঘটনা বা বিপর্যয় ঘটে, তবে তা মোকাবিলায় যাতে ন্যূনতম সময় খরচ করা হয়, তা নিশ্চিত করতেও বলেন। হাসপাতালগুলিতে যাতে নিয়মিত অগ্নিসুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হয়, সেই নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
হিমাচল প্রদেশে দাবানলের খবর পেয়েই প্রধানমন্ত্রী মোদী জঙ্গল রক্ষার বিষয়ে জোর দিয়েছেন। শুষ্ক পাতা ঝরার মরশুমে যাতে দাবানল ছড়িয়ে না পড়ে এবং তা ভয়াবহ আকার ধারণ না করে, তার জন্য বন দফতরের আধিকারিকদের সংখ্যা বৃদ্ধি, অগ্নিনির্বাপণের প্রশিক্ষণ ও নিয়মিত অনুশীলনের মতো একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
সামনেই আসছে বর্ষাকাল। কেরলে বৃষ্টি প্রবেশ করলেই ধীরে ধীরে বাকি রাজ্যেও বৃ্ষ্টিপাত শুরু হবে। অতিরিক্ত বৃষ্টি বা নিকাশি ব্যবস্থায় সমস্যার জন্য একাধিক রাজ্যেই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। গতবছরও কেরল, তামিলনাড়ু, অন্ধ্র প্রদেশে বন্যার সৃষ্টি হয়েছিল। সেই উদাহরণ তুলেই প্রধানমন্ত্রী বন্যা মোকাবিলায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন। একইসময়ে জলবাহিত রোগ থেকে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে পরিষ্কার পানীয় জলের আগাম ব্যবস্থা করে রাখার কথা বলেছেন তিনি।
তাপপ্রবাহই হোক বা আসন্ন বর্ষাকাল, যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে যাতে সমন্বয় থাকে, সেই কথাও উল্লেখ করেছেন নমো। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে ‘হিট অ্যাকশন প্ল্যান’ বানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা, শহর ও রাজ্যের বিন্যাসে। বন্যা মোকাবিলার জন্যও আগে থেকে পরিকল্পনা ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।