Cyclone Update: ৬৫ কিমি বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া, কতটা শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়?
Weather Update: ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা সম্পর্কে জানানো হয়, আন্দামান সাগরের উপরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। এর প্রভাবে ৬ মে আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উপকূলে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে।
নয়া দিল্লি: বাড়ছে ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) আশঙ্কা। বঙ্গোপসাগর উপকূলে নিম্নচাপ শক্তিশালী হতেই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি শুরু করে দিল ওড়িশা সরকার। চলতি সপ্তাহেই আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়, আন্দামান সাগরের উপরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে, যা ধীরে ধীরে ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হচ্ছে। শক্তি বাড়িয়ে এটি ঘূর্ণিঝড় হিসাবে আছড়ে পড়তে পারে সপ্তাহের শেষভাগেই। ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য গতিপথ ওড়িশা উপকূল হওয়ায়, রাজ্যে সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্পেশাল রিলিফ কমিশনার প্রদীপ কুমার জানা বলেন, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৭টি দল প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়াও ওড়িশা বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২০টি দল ও দমকল বাহিনীর ১৭৫টি দলকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, বর্তমানে পূর্ব ভারতে কালবৈশাখীর দাপট দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্যে ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে তাপমাত্রাও তুলনামূলকভাবে বেশ কিছুটা কম রয়েছে। আপাতত পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা সহ আশেপাশের রাজ্যগুলিতে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণ ভারতেও তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে।
ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা সম্পর্কে জানানো হয়, আন্দামান সাগরের উপরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। এর প্রভাবে ৬ মে আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উপকূলে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। ধীরে ধীরে তা আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের দিকে অগ্রসর হবে এবং ৮ মে-র মধ্যে নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। নিম্নচাপের কারণে আজ থেকেই হাওয়ার গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার থাকবে। যা ধীরে ধীরে ৫৫ থেকে ৬৫ কিলোমিটারে গতি বাড়াবে। ঝড়ের সময় হাওয়ার গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার অবধি পৌঁছতে পারে।
ঝড়ের সম্ভাবনার কারণে আপাতত বঙ্গোপসাগর উপকূলের দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্ব-মধ্য অঞ্চলের মৎসজীবীদের ৮ তারিখ অবধি সমুদ্রে যাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ১৮টি জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জারি হতেই ওড়িশা সরকার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, উদ্ধারকারী দলগুলিকে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দলগুলিকেও ছোট ছোট ভাগে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে পাঠানো যেতে পারে প্রয়োজন অনুসারে। ইতিমধ্যেই একাধিক বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকও করা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে। ঝড়ের সময় যাতে খাদ্যয় সঙ্কট না দেখা যায়, তা নিশ্চিত করতেও ময়দানে নেমেছেন রাজ্য খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী।