No COVID Cases in Dharavi: সচেতনতায় কাবু করোনা, ‘শূন্য’ আক্রান্ত নিয়ে দেশকে শিক্ষা দিচ্ছে ধারাভি

No COVID Cases in Dharavi: ওমিক্রনের দাপটে দেশজুড়ে করোনার যে নতুন ঢেউ শুরু হয়েছে, তাতে এই প্রথম ধারাভি বস্তি থেকে কোনও করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলল না। শুক্রবার মুম্বই প্রশাসনের তরফেই এই কথা জানানো হয়। 

No COVID Cases in Dharavi: সচেতনতায় কাবু করোনা, 'শূন্য' আক্রান্ত নিয়ে দেশকে শিক্ষা দিচ্ছে ধারাভি
নতুন করে কোনও করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলল না ধারাভিতে। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 29, 2022 | 11:46 AM

মুম্বই: সংক্রমণ সামাল দিতে যেখানে হাসফাঁস খাচ্ছে একাধিক রাজ্য, সেখানেই নজির গড়ল ধারাভি বস্তি। বিশ্বের বৃহত্তম বস্তি ধারাভি। সেখানে শুক্রবার নতুন করে কোনও করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলল না। ওমিক্রনের দাপটে দেশজুড়ে করোনার যে নতুন ঢেউ শুরু হয়েছে, তাতে এই প্রথম ধারাভি বস্তি থেকে কোনও করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলল না। শুক্রবার মুম্বই প্রশাসনের তরফেই এই কথা জানানো হয়।

মুম্বইয়ের জি নর্থ ওয়ার্ডের অ্যাসিস্টেন্ট মিউনিসিপাল কমিশনার কিরণ দিগাভকর জানান, ৩৯ দিন বাদে ধারাভিতে কোনও করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলল না। এর আগে ২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর কোনও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য ছিল। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে ধারাভি বস্তিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪৩। এরমধ্যে ১১ জন গুরুতর অসুস্থ হওয়ায়, তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বৃহ্নমুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও অবধি ধারাভি বস্তিতে মোট ৮ হাজার ৫৮১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ৮ হাজার ১২১ জনই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তবে এই বস্তিতে করোনা সংক্রমণে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। গত ৬ জানুয়ারি এখানে মোট ১৫০ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল, এরপর থেকেই আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে।

কীভাবে সংক্রমণ রুখছে ধারাভি?

২.৫ স্কোয়ার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত ধারাভিতে কয়েক হাজার কুঁড়েঘর ও টিনের বাড়ি রয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম বস্তি হিসাবে পরিচিত ধারাভিতে জনসংখ্যা ৬.৫ লাখ। ছোট ছোট কারখানাও রয়েছে এখানে। ঘন জনবসতি পূর্ণ এই এলাকায় যেখানে প্রথম ঢেউ থেকেই সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হলেও, জনসচেতনতাই সংক্রমণ রুখেছে। নিয়মিত স্যানিটাইজেশন ছাড়াও সামান্য জ্বর হলেই করোনা পরীক্ষা করা, মাস্ক পরার মতো সাবধানতা অবলম্বন করার ফলেই করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা গিয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।