COVID Vaccination Record: ফের নয়া সাফল্য টিকাকরণে, মাত্র ২৬ দিনেই প্রথম ডোজ় পেল ৬০ শতাংশ কিশোর-কিশোরী!

COVID Vaccination Record: চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি থেকেই শুরু হয়েছিল দেশের ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ। একমাস পূরণ হওয়ার আগেই ওই বয়সসীমার ৬০ শতাংশ কিশোর-কিশোরীই করোনা টিকার প্রথম ডোজ় (First Dose of COVID Vaccine) পেয়ে গিয়েছে।

COVID Vaccination Record: ফের নয়া সাফল্য টিকাকরণে, মাত্র ২৬ দিনেই প্রথম ডোজ় পেল ৬০ শতাংশ কিশোর-কিশোরী!
টিকাকরণে নয়া মাইলফলক পার করল দেশ। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 29, 2022 | 9:17 AM

নয়া দিল্লি: করোনা টিকাকরণে (COVID Vaccination) একের পর এক সাফল্যের মাইলফলক পার করছে দেশ। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি থেকেই শুরু হয়েছিল দেশের ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ। একমাস পূরণ হওয়ার আগেই ওই বয়সসীমার ৬০ শতাংশ কিশোর-কিশোরীই করোনা টিকার প্রথম ডোজ় (First Dose of COVID Vaccine) পেয়ে গিয়েছে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য (Mansukh Mandaviya) এই কথা জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা:

টিকাকরণ কর্মসূচিতে নতুন সাফল্যের কথা ঘোষণা করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী টুইট করে বলেন, “আমাদের যুব প্রজন্ম পথ দেখাচ্ছে! সকল কিশোর-কিশোরীদের শুভেচ্ছা, যারা টিকা নিয়েছে। ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে ৬০ শতাংশ কিশোর-কিশোরীই ইতিমধ্যেই করোনা টিকার প্রথম ডোজ় পেয়ে গিয়েছে।”

ছোটদের টিকাকরণের ক্ষেত্রে, মাত্র তিনদিনের মধ্যেই এক কোটিরও বেশি করোনা টিকা দিয়ে শুরুতেই রেকর্ড গড়েছিল ভারত। ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া নাবালক-নাবালিকাদের টিকাকরণ কর্মসূচিতে ৬ জানুয়ারিরই মধ্যেই ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী, এমন ১ কোটি ২৯ লক্ষ জনকে করোনা টিকা দেওয়া হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবারই স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনগণের মধ্যে ৯৫ শতাংশই করোনা টিকার প্রথম ডোজ় পেয়ে গিয়েছেন। এবার ফের নয়া রেকর্ড গড়ল ভারত।

এই নিয়ে দেশে মোট টিকাকরণের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬৪ কোটি ৯৫ লক্ষ ৪৮ হাজার ৯৩৯-এ। এরমধ্যে ১ কোটি ৫ লক্ষ ১৩ হাজার ৯৮৭ প্রিকশন ডোজ়ও রয়েছে, যা গত ১০ জানুয়ারি থেকে দেশের স্বাস্থ্যকর্মী, করোনা যোদ্ধা ও কো-মর্ডিবিটি যুক্ত ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের দেওয়া হয়েছে।

এক নজরে দেশের টিকাকরণ কর্মসূচি:

গত বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশে শুরু হয়েছিল করোনা টিকাকরণ। প্রথম ধাপে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের টিকা দেওয়া হয়। এরপর ২০২১ সালের ১ মার্চ থেকে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি ও ৪৫-৬০ বছরের মধ্যে ব্যক্তি, যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের জন্য়ও টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়।

২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে শুরু হয় ৪৫ বছরের বেশি বয়সী সকলের জন্য টিকাকরণ। ওই বছরই ১ মে থেকে শুরু হয় সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ ১৮ উর্ধ্বদের টিকাকরণ।

নতুন বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে টিকাকরণের আরও এক ধাপ এগিয়ে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের করোনা টিকাকরণ শুরু হয়। ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা ও ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি, যাদের কোমর্ডিবিটি রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের প্রিকশন টিকাকরণ। প্রিকশন টিকার ক্ষেত্রে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ়ের ৩৯ সপ্তাহ অর্থাৎ ৯ মাস পর তৃতীয় ডোজ় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।

সংক্রমণ নিয়ে সতর্কবার্তা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর:

শুক্রবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য কেরল, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, অন্ধ্র প্রদেশ, তেলঙ্গনা, পুদুচেরী, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মতো দক্ষিণ ভারতের রাজ্য় ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন। রাজ্য়গুলিতে উর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ ও তা প্রতিরোধে কী কী ব্য়বস্থা নেওয়া হয়েছে, সেই বিষয়েই জানতে চান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

ওই বৈঠকেই তিনি ছোটদের টিকাকরণের গতি সম্পর্কেও জানতে চান। যাদের টিকার দ্বিতীয় ডোজ় বাকি, তাদের জন্য কী বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সেই বিষয়েও জানতে চান।