Zika virus: মশা থেকে ছড়াচ্ছে জিকা ভাইরাস, উপসর্গ ও চিকিৎসা জানুন
Zika virus infection: সাধারণত মশা জিকা ভাইরাসের বাহক। স্বাভাবিকভাবেই জিকায় সংক্রমিত ব্যক্তিকে কামড়ানোর পর মশা অন্য কারও দেহে বসলে সে আক্রান্ত হতে পারে। আবার গর্ভবতী মহিলার থেকে ভ্রণ সংক্রমিত হতে পারে। এছাড়া যৌন সংসর্গ থেকেও সুস্থ ব্যক্তি জিকা ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারে।
বেঙ্গালুরু: নিপা (Nipah) -র পর এবার ভয় ধরাচ্ছে জিকা (Zika)। নিপা বাদুড় থেকে সংক্রমতি হয়। আর জিকা-র সংক্রমণ ছড়াচ্ছে মশা। সাম্প্রতিক মেডিক্যাল রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। অর্থাৎ ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়ার মতো এবার জিকা ভাইরাসের বাহক হল, মশা। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) কাছে চিক্কাবাল্লাপুর জেলায় জিকা আক্রান্ত রোগীরও হদিশ মিলেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সংক্রমিত এলাকায় হাই অ্যালার্ট (High alert) জারি করেছে কর্নাটক সরকার।
প্রশাসন সূত্রে খবর, বেঙ্গালুরু শহরের কাছে চিক্কাবাল্লারপুর জেলায় জিকা আক্রান্ত রোগীর হদিশ মিলেছে। এরপরই এলাকায় জ্বরে আক্রান্ত সকলের উপর বিশেষ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. এস. মহেশ জানান, গোটা রাজ্য থেকে ১০০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে চিক্কাবাল্লাপুরে ৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে ৫ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও ১ জনের রিপোর্ট পজিটিভ। এছাড়া তালাকায়ালা বেট্টা গ্রাম থেকে ৩০ জন গর্ভবতী মহিলা ও ৭ জন ব্যক্তি প্রচণ্ড জ্বরে আক্রান্ত। তাঁরাও জিকা-য় আক্রান্ত কিনা জানতে নমুনা বেঙ্গালুরুতে ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে।
চিক্কাবাল্লারপুর জেলার তালাকায়ালা বেট্টা গ্রামে মশার মধ্যেই জিকা ভাইরাস বহনের রিপোর্ট মিলেছে। এরপরই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। জিকা সংক্রমণ ঠেকাতে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। ওই এলাকায় জ্বরে আক্রান্তদের উপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। ৫০০০ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন।
জিকার উপসর্গ
জিকা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ৩-১৪ দিনের মধ্যে উপসর্গ প্রকাশ্যে আসে। জিকা সংক্রমণের প্রাথমিক উপসর্গ হল, জ্বর, শরীরে ব়্যাশ, কনজাংটিভাইটিস, পেশিতে ব্যথা এবং মাথা ব্যথা। ২ দিন থেকে ৭ দিন এই উপসর্গ থাকে। ফলে অনেকেই বুঝতে পারে না, সে জিকায় সংক্রমিত। তবে গর্ভবতী মহিলারা জিকায় সংক্রমিত হলে তার প্রভাব ভ্রুণের উপর পড়তে পারে। এমনকি গর্ভাবস্থায় ভ্রুণের মৃত্যু হতে পারে।
কীভাবে সংক্রমিত হয়?
সাধারণত মশা জিকা ভাইরাসের বাহক। স্বাভাবিকভাবেই জিকায় সংক্রমিত ব্যক্তিকে কামড়ানোর পর মশা অন্য কারও দেহে বসলে সে আক্রান্ত হতে পারে। আবার গর্ভবতী মহিলার থেকে ভ্রণ সংক্রমিত হতে পারে। এছাড়া যৌন সংসর্গ, রক্ত গ্রহণ এবং অঙ্গ প্রতিস্থাপন থেকেও সুস্থ ব্যক্তি জিকা ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারে।
প্রতিরোধের উপায়
সাধারণত, এডিস মশা হল জিকার বাহক। জিকা ভাইরাস বহনকারী মশা সাধারণত সন্ধ্যায় বেরোয়। তাই মশার থেকে বাঁচতে হবে। ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া জ্বর হলেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি।
চিকিৎসা
হু-র মতে, জিকার আলাদা কোনও চিকিৎসা নেই। জিকা ভাইরাসের উপসর্গ খুবই সাধারণ। জ্বর, পেশি ব্যথার সাধারণ ওষুধ খাওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে অতিরিক্ত জল, ওআরএস-এর মতো তরল পানীয় পান করা জরুরি। আর গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে দেরি না করে চিকিৎসা করা বাঞ্ছনীয়।