WB COVID-19 Update: কলকাতায় ৬২১, রাজ্যে একদিনেই করোনা আক্রান্ত ১৫২৪! তবুও কাটছে না মাস্ক পরার অনীহা

WB COVID-19 Update: রাজ্যে বর্তমানে সংক্রমণের হার ১২.৮৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪১৪ জন। বর্তমানে রাজ্যে সুস্থতার হার ৯৮.৬১ শতাংশ।

WB COVID-19 Update: কলকাতায় ৬২১, রাজ্যে একদিনেই করোনা আক্রান্ত ১৫২৪! তবুও কাটছে না মাস্ক পরার অনীহা
রাজ্যে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 01, 2022 | 8:53 AM

কলকাতা: ফের ভয় ধরাচ্ছে করোনা। দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৫২৪ জন। করোনায় মৃত্য়ুও হয়েছে। একদিনেই করোনা সংক্রমণে মৃত্য়ু হয়েছে একজনের। এই নিয়ে রাজ্য়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ লক্ষ ২৯ হাজার ৪২৫-এ।

বিগত এক সপ্তাহ ধরেই রাজ্যে ক্রমাগত আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। গত ২৮ জুনই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা  হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছিল। ২৯ তারিখেও রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৪২৪ জন। সংক্রমণে একদিনেই মৃত্য়ু হয়েছিল ২ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১০০ বৃদ্ধি পেয়েছে। একদিনেই রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৫২৪ জন। কলকাতাতেও আক্রান্তের সংখ্যা একধাক্কায় অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। কলকাতায় একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬২১ জন।

রাজ্যে বর্তমানে সংক্রমণের হার ১২.৮৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪১৪ জন। বর্তমানে রাজ্যে সুস্থতার হার ৯৮.৬১ শতাংশ। অন্যদিকে, রাজ্যে মৃত্যু হার ১.০৫ শতাংশ। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৬৬৯১।  হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩০৩ জন।

এদিকে, রাজ্যে সংক্রমণ বাড়তেই সতর্কবার্তা জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরও।  কী উপসর্গ দেখা দিলে করোনা পরীক্ষা করাবেন, সংক্রমণ কোন পর্যায়ে পৌঁছলে হাসপাতালে ভর্তি হবেন, কাদের নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই,  সেই বিষয়গুলিকে নিয়েই নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

নয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নাক বা মুখের চিকিৎসা করাতে হলে, যেখানে সার্জনকে দীর্ঘক্ষণ যুক্ত থাকতে হবে, সেক্ষেত্রে রোগীর করোনা পরীক্ষা আবশ্যক বলেই জানানো হয়েছে। জ্বর ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ থাকলে অবশ্যই করোনা পরীক্ষা ও প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রাও ৯৪-র নীচে নেমে গেলে করোনা পরীক্ষা ও হাসপাতালে ভর্তির সুপারিশ করা হচ্ছে।

এছাড়া সাধারণ করোনাবিধি, অর্থাৎ মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা, স্যানিটাইজেশনের মতো স্বাস্থ্য়বিধি অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।