Snatching Case: বিধাননগরে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ছিনতাই, তারপর বাইক ছুটিয়ে ধাঁ

Crime news: নিজেদের পুলিশকর্মী বলে পরিচয় দেয় ওই দুই যুবক। এরপর ভয় দেখিয়ে মোবাইল ফোন ও টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয় ও প্রাণনাশের হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ।

Snatching Case: বিধাননগরে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ছিনতাই, তারপর বাইক ছুটিয়ে ধাঁ
পুলিশের পরিচয় দিয়ে ছিনতাই
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 15, 2023 | 5:20 PM

কলকাতা: পুলিশের পরিচয় দিয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করল উত্তর বিধাননগর (Bidhannagar) থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম বিক্রম সিং ও সুরজ প্রসাদ ঝাঁ। এদিন অভিযুক্তদের বিধাননগর মহকুমা আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটেছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে। গতরাতে অসীম কুমার বল্লভ নামে দত্তাবাদের বাসিন্দা এক ব্যক্তি অফিস থেকে বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় বিধাননগর কলেজের সামনে দুই যুবক তাঁর গাড়ি আটকায়। নিজেদের পুলিশকর্মী বলে পরিচয় দেয় ওই দুই যুবক। এরপর ভয় দেখিয়ে মোবাইল ফোন ও টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয় ও প্রাণনাশের হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ। মোবাইল ও টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে বাইকে চেপে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়।

জানা গিয়েছে, ঘটনার পর গতরাতে অভিযোগকারী ব্যক্তির বেশ কয়েকজন বন্ধু ওই পথ দিয়ে ফিরছিলেন। তাঁদের দেখতে পেয়ে অসীমবাবু বন্ধুদের গোটা বিষয়টি জানান। যে পথ ধরে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গিয়েছিল, সেই পথ ধরে বাইক নিয়ে তাদের ধাওয়া করেন অসীমবাবু ও তাঁর বন্ধুরা। এরপর অনেকটা দূরে গিয়ে একটি স্কুলের কাছে ওই দুই ছিনতাইবাজের বাইক থামাতে সক্ষম হন তাঁরা। অভিযুক্ত দুই দুষ্কৃতীকে ধরে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন তাঁরা। উদ্ধার হয়েছে ছিনতাই করা মোবাইল ও টাকার ব্যাগ।

অভিযুক্ত দুই যুবককে এদিন পুলিশ বিধাননগর মহকুমা আদালতে পেশ করে। পুলিশের তরফে পাঁচ দিন নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল এবং আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, শুধু বিধাননগর এলাকায় নয়, কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত জুড়েই তারা নিজেদের পুলিশের পরিচয় দিয়ে ছিনতাই চালাত। জানা গিয়েছে, ওই দুই যুবক ইতিমধ্যেই পুলিশি জেরায় নিজেদের দোষ স্বীকার করে নিয়েছে। ধৃত ওই দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনার পিছনে আরও কারা কারা জড়িত বা অতীতে আরও কোথায় কোথায় এই ছিনতাই করা হয়েছে, সেই সব তথ্য জানার চেষ্টা করছেন পুলিশকর্মীরা।