কেন্দ্র বিভ্রাট! কলকাতা পুলিশের জন্য জয়েন্টে বসার সুযোগ হল বিহারের ২ পরীক্ষার্থীর
Kolkata Police: কোনও উপায়ন্তর না দেখে আরেক পুলিশ বন্ধুকে বাইক ও হেলমেট-সহ ডেকে নেন নীলয়বাবু। দুই পরীক্ষার্থীকে মোটর বাইকে করে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেন তাঁরা।
কলকাতা: সুদূর বিহার থেকে ট্রেনে চেপে হাওড়া স্টেশন। সেখান থেকে বাসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু দুই জয়েন্ট পরীক্ষার্থী এতদূর এসেও সিট খুঁজে পাননি! পাবেনই বা কেমন? পরীক্ষাকেন্দ্র তো দেওয়া হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাস। তাঁরা এসে পৌঁছেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ভুল যখন বুঝতে পারলেন তখন অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছিল। একে করোনা পরিস্থিতি তার ওপর শনিবার। হন্যে হয়ে গাড়ির জন্য ছোটাছুটি করে প্রায় হালই ছেড়ে দিয়েছিলেন বিহার থেকে আসা দুই পরীক্ষার্থী। কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) কর্তব্যরত ট্র্যাফিক সার্জেন্ট না থাকলে এবার হয়ত পরীক্ষাটাই দেওয়া হত না। এতদিনের পরিশ্রমের একটি বছর নষ্ট হত মণীশ কুমার ও ইরফান আনসারির।
ঘটনা হল, বিহার থেকে রাজ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স (WBJEE) পরীক্ষা দিতে এসে সেন্টার গুলিয়ে ফেলেছিলেন এই দুই পরীক্ষার্থী। যাদবপুর ইউনিভার্সিটির সল্টলেক ক্যাম্পাসে না গিয়ে ভুলবশতঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন ক্যাম্পাসে হাজির হয়েছিলেন তাঁরা। শেষ মুহূর্তে ভুল বুঝতে পারেন। কিন্তু গাড়ি পাচ্ছিলেন না। এদিকে যাদবপুর স্ট্যান্ডে দুই তরুণকে ইতস্তত ঘুরতে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। যাদবপুর ট্র্যাফিক গার্ডের সার্জেন্ট নীলয় হালদার তাঁদের কাছে এগিয়ে যান। দুই তরুণ খুলে বলেন গোটা ব্যাপারটা।
ওই পুলিশ অফিসার বেশ কয়েকটি গাড়ি থামিয়ে দুই পরীক্ষার্থীকে সল্টলেকে পৌঁছে দেওয়ার আবেদন করেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিততে কোনও গাড়ির চালকই সাড়া দেননি। এত দূর এসেও একটা বছর নষ্ট হবে দুই পরীক্ষার্থীর! না তা হতে দেওয়া যায় না। কোনও উপায়ন্তর না দেখে আরেক পুলিশ বন্ধুকে বাইক ও হেলমেট-সহ ডেকে নেন নীলয়বাবু। দুই পরীক্ষার্থীকে মোটর বাইকে করে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেন তাঁরা।
#পাশেআছিসাধ্যমতো2 WBJEE aspirants from Bihar mistakenly reached the JU Main Campus instead of the university's Saltlake Campus, which was their designated exam center. Sgt Niloy Halder of Jadavpur Traffic Guard, swiftly arranged transport for the tensed duo. pic.twitter.com/CgeHb0LSzY
— DCP Traffic Kolkata (@KPTrafficDept) July 17, 2021
সকাল সাড়ে দশটায় সেন্টারে পৌঁছতে হত। একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল মণীশ ও ইরফানের পৌঁছতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল। তবে তাঁদের ঘটনাক্রম শুনে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেন দায়িত্বপ্রাপ্ত পরীক্ষক। শেষমেশ জয়েন্ট পরীক্ষা দিয়েছেন মণীশ কুমার ও ইরফান আনসারি। আর এ জন্য ট্র্যাফিক সার্জেন্ট নীলয় হালদারের কাছে তাঁরা চির কৃতজ্ঞ থাকবেন বলে জানান। তাদের অফিসারের কাজে গর্বিত কলকাতা পুলিশও। তারা একটি টুইটও করে। আর নীলয়বাবু জানাচ্ছেন, তিনি শুধু তাঁর কর্তব্যটুকুই করেছেন। আরও পড়ুন: মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের সত্যতা যাচাই করতে চায় নবান্ন, চাওয়া হল থানা ভিত্তিক তথ্য