TET Exam: ‘দ্বিতীয় মানিক হবেন না’, গৌতমের ‘অনুরোধ’ ফেলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বসতে নারাজ ২০১৪-র চাকরিপ্রার্থীরা
TET Exam: “আমি অনুরোধ করছি সবাই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিন। আমি খুব তাড়াতাড়ি তাঁদের অ্যাপেন্টমেন্ট লেটার দেব। আমি সরকার এবং মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। শিক্ষা দফতর অত্যন্ত সদর্থক ভূমিকা নিচ্ছে।” বলেছিলেন গৌতম।
কলকাতা: ১১ হাজারের বেশি শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ হবে বলে আগে জানিয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি (President of Primary Education Board) গৌতম পাল (Gautam Pal)। জারিও হয়ে গিয়েছে বিজ্ঞপ্তি। যাঁরা টেট (TET Exam) পাশ করে গিয়েছেন তারাই এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। সঙ্গে থাকবে হবে প্রশিক্ষণও। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল ২০১৬ সালের আইন অনুযায়ী নিয়োগ করা হবে। স্ক্রুটিনি, ইন্টারভিউয়ের পরে যোগ্যদের নিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। এমনকী এবারের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ঠেকাতে পর্ষদ যে বদ্ধপরিকর তা বারেবারে বুঝিয়ে দিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি। এমনকী আগামীতে টেট সংক্রান্ত যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতেও তিনি প্রস্তুত বলে জানিয়েছিলেন। ২০১৪, ২০১৭ সালের চাকরিপ্রার্থীদের বিবাদে না গিয়ে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদন করতেও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। যদিও তাঁর সেই আবেদনে সাড়া দিতে নারাজ একাংশের চাকরিপ্রার্থীরা।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সে কথা সপাটে জানিয়েও দিলেন তাঁরা। আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী অচিন্ত্য প্রসাদ সামন্ত বলেন, “আমরা ২০১৪ সালের প্রার্থী। আমরা দুবার ইন্টারভিউ দিয়েছি। একটা ইন্টারভিউ দেওয়ার প্রসেস চলছে। সেই প্রসেস কমপ্লিট হোক। আগে সেই প্রক্রিয়া শেষ করা হোক। তারপর অন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হোক। নতুন রিক্রুটমেন্ট প্রসেস শুরু করলে আমরা আবার বঞ্চিত হব। কারণ, নতুন যাঁরা পরীক্ষার্থী তাঁদের সঙ্গে আমাদের নম্বরের অনেক পার্থক্য। এছাড়াও আমাদের অনেকরই বয়স ৪০ পেরিয়ে গিয়েছে। তাঁরা আর নতুন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না। সুতরাং ২০১৪-র সঙ্গে আর কোনও বঞ্চনা নয়। আর কোনও নতুন নিয়োগ নয়। যে ইন্টারভিউ দিয়েছি সেই প্রক্রিয়া শেষ করে তবেই নতুন প্রক্রিয়া শুরু হোক।”
যদিও গৌতম পাল বলেন, “আমি অনুরোধ করছি সবাই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিন। আমি খুব তাড়াতাড়ি তাঁদের অ্যাপেন্টমেন্ট লেটার দেব। পরবর্তী বছরেও ২ বার নিয়োগ করব। আমি সরকার এবং মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। শিক্ষা দফতর অত্যন্ত সদর্থক ভূমিকা নিচ্ছে।” যদিও তাঁর অনুরোধে কর্ণপাত না করে চাকরিপ্রার্থী অচিন্ত্যর দাবি, “আমরা নতুন প্রক্রিয়ায় একদমই অংশ নিচ্ছি না। ২০১৪ সবথেকে বেশি বঞ্চিত। ২০১৪ সালের দুর্নীতির কারণে মানিকবাবু গ্রেফতার। ২০১৪ থেকে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। আমাদের মতো যোগ্য প্রার্থীদের বসিয়ে রেখে আমাদের সিটগুলি অযোগ্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সেই অযোগ্যদের বের করে ২০১৪-র যোগ্যদের নিয়োগ করা হোক। যদি তা না হয় তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাব। নতুন পর্ষদ সভাপতিকে বলব মানিকবাবু যেখানে শেষ করেছিলেন সেখান থেকে শুরু করবেন না। দ্বিতীয় মানিক হবেন না। আপনার প্রতি আমাদের সকলের ভালবাসা আছে। ২০১৪ সালের সঙ্গে যে বঞ্চনা হয়েছে তা আগে সংশোধন করুন। একটা সুরাহার পথ খুঁজুন।”