Rain in Bengal: বর্ষায় ভাসছে উত্তর, কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে ৫০ শতাংশ কম বৃৃষ্টি! নেপথ্যে কী কারণ?

Rain in Bengal: কেন এত বৃষ্টির ঘাটতি দেখা যাচ্ছে? ওয়াকিবহাল মহলের মত, বর্ষার শুরুতে দক্ষিণবঙ্গে কোনও নিম্নচাপের দেখা মেলেনি। আর সে কারণেই জুনে বর্ষা খাতায়-কলমে রাখলেও ভারী বর্ষণ দেখা যায়নি।

Rain in Bengal: বর্ষায় ভাসছে উত্তর, কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে ৫০ শতাংশ কম বৃৃষ্টি! নেপথ্যে কী কারণ?
ছবি: সংবাদ সংস্থা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 05, 2022 | 7:37 PM

কলকাতা: বাংলায় পা রাখলেও জুনে বিশেষ বৃষ্টির দেখা মেলেনি দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal)। তবে, দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে মুখ ফিরিয়ে থাকলেও উত্তরবঙ্গের (North Bengal) ক্ষেত্রে বরাবরই সদয় ছিল বর্ষা। মে থেকেই চলছে দাপট। সহজ কথায় এবারে দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গে ক্ষেত্রে বর্ষার চরিত্র অনেকটাই আলাদা। যা নিয়েই বাড়ছে উদ্বেগ। আবহাওয়া দফতর (Weather Department) সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি ৪৯ শতাংশ। সেখানে উত্তরবঙ্গে ৫০ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

সামগ্রিকভাবে দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) ক্ষেত্রে বৃষ্টির ঘাটতি ৫০ শতাংশের কাছাকাছি থাকলেও শুধুমাত্র কলকাতায় বৃষ্টির ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫৩ শতাংশ। পরিসংখ্যান বলছে, জুন মাসে বৃষ্টি হয়েছে ১১৫ মিলিমিটার। কিন্তু, অন্যান্য বছরের হিসাবে গড় বৃষ্টি হয়েছে ২৮৩ মিলিমিটার। তবে, এই প্রথমবার নয়, বড়সড় বৃষ্টির ঘাটতি দেখা গিয়েছে ২০১৯, ২০০৯ ও ২০০৬ সালে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালে বৃষ্টি হয়েছিল ৯১.৫ মিলিমিটার। সেখানে ২০০৯ সালে বৃষ্টি হয়েছিল ৯৮.১ মিলিমিটার, ২০০৬ সালে হয়েছিল ১১৯.৬ মিলিমিটার। তবে কেন এত বৃষ্টির ঘাটতি দেখা যাচ্ছে? ওয়াকিবহাল মহলের মত, বর্ষার শুরুতে দক্ষিণবঙ্গে কোনও নিম্নচাপের দেখা মেলেনি। আর সে কারণেই জুনে বর্ষা খাতায়-কলমে রাখলেও ভারী বর্ষণ দেখা যায়নি। 

তবে কমবেশি প্রতি সন্ধ্যাতেই কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির দেখা মিলেছে। তবে তা কোনওভাবেই ঘাটতি পূরণ সম্ভব নয়। এমনকী আবহাওয়া দফতরের সাম্প্রতিক পূর্বাভাস বলছে আগামী পাঁচ দিনও দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে ভারী বৃষ্টি না হওয়ার কারণে দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতে তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে। যা এই সময় অন্যান্য বছর থাকা তাপমাত্রার থেকে অনেকটাই বেশি। সেই সঙ্গে বজায় থাকবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি।