TMC in Tripura: ‘পদক্ষেপ করুক সুপ্রিম কোর্ট’, বিপ্লবের মন্তব্যে দাবি অভিষেকের

Biplab Deb vs Abhishek: পুলিশকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই আক্রমণ শানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

TMC in Tripura: 'পদক্ষেপ করুক সুপ্রিম কোর্ট', বিপ্লবের মন্তব্যে দাবি অভিষেকের
বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে টুইটে আক্রমণ অভিষেকের (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 27, 2021 | 8:44 AM

কলকাতা: একদিকে ভবানীপুরে চলছে শেষবেলার প্রচার। অন্যাদিকে, ত্রিপুরাও (Tripura) এই মুহূর্তে তৃণমূলের (TMC) পাখির চোখ। তাই বিপ্লব দেব সরকারকে আক্রমণ করার কোনও সুযোগই ছাড়ছে না ঘাসফুল শিবির। গত কয়েকদিনে অভিষেকের সভার অনুমতি ঘিরে ত্রিপুরার সরকারের সঙ্গে সংঘাত তুঙ্গে উঠেছে। এরই মধ্যে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের (Biplab Deb) একটি বক্তব্যের ভিডিয়ো পোস্ট করে আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বিচার ব্যবস্থা ও গণতন্ত্র নিয়ে পরিহাস করছেন বলে আক্রমণ করেছেন বিপ্লব দেবকে (Biplab Deb)। তাঁর দাবি, সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখুক।

সম্প্রতি, ত্রিপুরার কোনও এক সভায় আদালত অবমাননা প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বিপ্লব দেব। তিনি বলেছেন, ‘আদালত অবমাননার দায়ে কী হবে? আদালত অবমাননার জন্য কেউ কোনোদিন জেলে যায়নি। জেলে যাওয়া অত সহ নয়।’ শুধু তাই নয়, পুলিশ যে মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেই চলে, এমন মন্তব্যও করেছেন বিপ্লব দেব। তাঁর দাবি, জেলে তো পুলিশ নিয়ে যাবে। আর পুলিশ মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেই কাজ করে। তিনি বলেন, ‘পুলিশ যদি বলে কাউকে খুঁজে পায়নি। তাহলে কী করবে?

বিপ্লব দেবের সেই বক্তব্য পোস্ট করেই অভিষেক টুইটে উল্লেখ করেছেন, আদতে বিচার ব্যবস্থা নিয়ে পরিহাস করছেন বিপ্লব দেব। তাঁর দাবি, গণতন্ত্র ও বিচার ব্যবস্থাকে চূড়ান্ত অবমাননাকর এই মন্তব্য গুরুত্ব দিয়ে দেখুক সুপ্রিম কোর্ট।

ত্রিপুরায় গিয়ে বারবার বাধার মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বকে। একাধিকবার আবেদন করেও অনুমতি পাওয়া যায়নি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার। শুধু তাই নয়, এরই মধ্যে ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের কাছে এসেছে একের পর এক নোটিস। হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ত্রিপুরায়। প্রথমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরে কুণাল ঘোষকে ত্রিপুরার খোয়াই থানা থেকে নোটিস পাঠানো হয়

প্রথমে ১৬, পরে ১৭ ও তারপর ২২ তারিখে সভার অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু যতবারই কর্মসূচির আবেদন জানানো হয়, পুলিশ নাকচ করে দেয়। সেই প্রেক্ষিতে যথারীতি ত্রিপুরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। এরই মধ্যে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের সভা-সমিতি উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিপ্লব দেব সরকার। করোনা পরিস্থিতির জেরে এই সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: Cyclone Gulab Update: রাতেই শুরু গুলাবের তাণ্ডব, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু তিনজনের