Abhishek Banerjee: ‘এই সব অভিযোগকে গুরুত্ব দিলে ‘প্যান্ডোরার বাক্স’ খুলে যাবে’, কুন্তলের চিঠি মামলায় বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ ইডি-র
Abhishek Banerjee: "বক্তব্য না শুনে কোথাও নাম না দেখে কীভাবে অভিষেকের বিরুদ্ধে রায়? স্পষ্ট কোন কারণ ছাড়া কেন ডেকে পাঠানো হবে? আদালতের কি আদৌ ক্ষমতা আছে?"
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের অভিযোগ ভিত্তিহীন। এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগে গুরুত্ব দিলে ‘প্যান্ডোরার বাক্স’ খুলে যাবে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে সওয়াল করলেন ইডির আইনজীবী। কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় অব্যাহতি চেয়েছিলেন অভিষেক। কিন্তু অভিষেককে এখনও রক্ষাকবচ দেননি সিঙ্গল বেঞ্চ।
KEY HIGHLIGHTS
- এদিনের শুনানিতে সওয়াল জবাবের সময়ে আইনজীবী সপ্তাংশু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বক্তব্য না শুনে কোথাও নাম না দেখে কীভাবে অভিষেকের বিরুদ্ধে রায়? স্পষ্ট কোন কারণ ছাড়া কেন ডেকে পাঠানো হবে? আদালতের কি আদৌ ক্ষমতা আছে?”
- ইডি-র আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী বলেন, “সুপ্রিমকোর্ট কোন স্থগিতাদেশ দেয়নি। পুনর্বিবেচনার আর্জি এখানে হতে পারে না। কারণ সুপ্রিম কোর্টে শুধু ট্রান্সফারের কথা বলেছে।”
- ইডি-র আইনজীবী সওয়াল করেন, “সমাজের শিড়দাঁড়া ভেঙে দিচ্ছে এই ধরণের আর্থিক দুর্নীতি। আমরা রিপোর্ট দিতে পারি সিলড কভারে।”
- ইডি-র আইনজীবী জানান, কুন্তল যাবতীয় অভিযোগ করেন অভিষেকের বক্তব্যের পরই। অথচ তার আগে জেলা আদালতে তাঁকে কোন অভিযোগ করতে দেখা যায় নি। এমনকি সংবাদমাধ্যমকেও কিছু বলেনি।
- ইডি-র আইনজীবী বিচারপতিকে জানান, শহীদ মিনারে মিনারে সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সভার বক্তব্য এবং কুন্তল ঘোষের চিঠির বক্তব্য একই। তিনি কুন্তল ঘোষের চিঠি পড়ে শোনান বিচারপতিকে।
- ইডি-র আইনজীবী বলেন, “এখন দেখা যাচ্ছে প্রত্যেক অভিযুক্ত তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করছে, এই সব ভিত্তিহীন অভিযোগকে গুরুত্ব দিলে প্যান্ডোরার বাক্স খুলে যাবে।”
- নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষ আদালতে যাওয়ার পথে দাবি করেছিলেন, তাঁর মুখ দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন তদন্তকারীরা। অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতে চিঠিও দেন কুন্তল। চিঠি দিয়েছিলেন হেস্টিংস থানাতেও। সেই চিঠি প্রসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, ইডি কিংবা সিবিআই প্রয়োজনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করা যেতে পারে। পরে অবশ্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই সংক্রান্ত মামলার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে চলে যায়।