ED on Abhishek Banerjee: ‘নিয়োগ দুর্নীতিতে আর্থিক লেনদেনের খোঁজ পেতেই ডাকা হয়েছিল অভিষেককে’, আদালতে বলল ইডি
ED on Abhishek Banerjee: এই মুহূর্তে বিদেশে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
কলকাতা: “নিয়োগ দুর্নীতিতে হওয়া আর্থিক লেনদেনের খোঁজ পেতেই ডাকা হয়েছিল অভিষেককে। তিনি প্রভাবশালী বলেই এই তদন্তের বাইরে তাঁকে রাখা যাবে না। এটা অর্থের বিনিময়ে চাকরি। মেধার ভিত্তিতে নয়।” আদালতে বিস্ফোরক মন্তব্য ইডির আইনজীবী। চাইলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অভিষেকের বিরুদ্ধে এফআইআর করে তদন্তে করতে পারে। আগেই এই কথা বলেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তাঁর নির্দেশ খারিজের জন্য আবার আবেদন করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মামলা উঠেছিল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। সেই মামলার শুনানির সওয়াল জবাব চলাকালীন এদিন এ কথা বলেন ইডির আইনজীবী এস ভি রাজু।
এদিকে এই মামলাটি কেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে করা হল, তা নিয়ে আবার আগে প্রশ্ন তুলেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বিতর্কের জেরে মামলা থেকে সরেও দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ফের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চেই পাঠিয়ে দেন অভিষেকের মামলা। সেই মামলার শুনানিতেই এদিন ইডির আইনজীবীর কথায় উঠে আসে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু, কুন্তল ঘোষের কথা। ইডির আইনজীবীর দাবি, ‘সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র কখনই শিক্ষা দফতরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তাঁর সঙ্গে অভিষেকের যোগাযোগ ছিল। ফলে এই স্টেজে আমরা বলতে পারি না অভিষেক গ্রেট। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করব না। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ঘনিষ্ঠ ছিলেন অভিষেকের সঙ্গে। মানিকেরও ঘনিষ্ঠ ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। ফলে নিশ্চিত তাঁদের লিঙ্ক আছে। কুন্তলের চিঠি বা অভিষেকের বক্তব্যের সঙ্গে এই তদন্তের কোনও যোগ নেই। নিয়োগ দুর্নীতিতে যে টাকার লেনদেন তার হদিশ পেতেই ডাকা হয়েছিল। তদন্তকারী সংস্থাকে আটকানো যায় না। হয়ত কিছু পাওয়া গেল না। তখন ক্লিনচিট দেওয়া যাবে।’
পাল্টা প্রশ্নে বিচারপতি ঘোষ বলেন, “এই তথ্যই কি শুধু আছে আপনার কাছে? ইডিকে গত পাঁচ বছরের হিসেব দিতে বলুন। কতগুলি ট্রায়াল কেস সাকসেসফুল বা ট্রায়াল শেষে ছাড় পেয়েছে। এক বছর বসে আছি। কলকাতা থেকে কনভিকশন হয়েছে দেখিনি। চার্জ ফ্রেম হয়নি কেন? আপনাদের দেরির জন্য যখন কোনও জামিন দিতে হয়, সেটা আদালতের কাছে আনন্দদায়ক হয় না। এজেন্সির জন্য এটা খারাপ বার্তা।” প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে বিদেশে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তাঁর মধ্যেই মামলার অগ্রগতি শেষ পর্যন্ত কোনওদিকে যায় সেদিকে নজর রয়েছে সকলের।