এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অসহিষ্ণুতা সমার্থক শব্দ: জেপি নাড্ডা
দু'দিনের সফরে বুধবার কলকাতায় পৌঁছন জে পি নাড্ডা। একুশে নির্বাচনকে সামনে রেখেই তাঁর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে।
কলকাতা: বঙ্গে এসেই সুর চড়ালেন জেপি নাড্ডা। মঞ্চ থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূল সরকারকে বিঁধলেন বিজেপি সভাপতি। হেস্টিংসে কার্যালয় উদ্বোধন করতে গিয়ে সরাসরি আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মঞ্চ থেকে নাড্ডা দাবি করেন একুশের নির্বাচনের পর বঙ্গে সরকার গড়বে বিজেপি। তিনি বলেন, “মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে আছে। মানুষ নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আছে।’
বিজেপি সভাপতির সাফ দাবি, ৪ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন, এবার শেষ ধাপ বাকি। ২০২১ সালেই ২০০ আসনে জিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উপড়ে ফেলে পদ্ম ফোটাবেন তাঁরা। করোনা প্রতিরোধ নিয়েও মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ নাড্ডা। তিনি বলেন,”বড় বড় দেশ উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে অসহায় হয়ে পড়লেও সঠিক সময়ে লকডাউন ঘোষণা করে ১৩০ কোটির দেশকে বাঁচিয়েছেন মোদী।” পাশাপাশি রাজ্যে কর্মী হত্যায় অপরাধীদের শাস্তি না হওয়ার অভিযোগে প্রশাসনকে বিঁধতেও ছাড়েননি নাড্ডা। নাড্ডা ছাড়াও মঞ্চে ছিলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ একাধিক বিজেপি নেতা।
হেস্টিংসের বিজেপি দফতরের পাঁচ তলায় এ দিন দলের রাজ্য নেতৃত্বের উপস্থিতিতে ভাষণ দেন নাড্ডা। তিনি বলেন, “এটা হল সেই ওয়ার রুম, যেখান থেকে আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার উপড়ে ফেলব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অসহিষ্ণুতা এখন সমার্থক শব্দ এই মন্তব্যও করেন নাড্ডা। সংবাদমাধ্যমকেও পুলিস দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: অভিমানী মমতা: সবকিছু করুন, আমাকে দু:খ দেবেন না
তবে হেস্টিংসে নাড্ডা মঞ্চে ওঠার আগেই তাঁকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে শুরু করেন জনা কুড়ি যুবক। বিজেপির সদর দফতরের সামনেই তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। হেস্টিংসের পর নাড্ডার কর্মসূচি রয়েছে পদ্মপুকুরে। সেখানে যে গলি দিয়ে নাড্ডা ঢুকবেন সেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্য়ায়। তার উল্টো দিকেই জমায়েত করেছেন তৃমমূল সমর্থকরা।