TMC in Panchayat: গোপন ব্যালট ‘গুরুত্বহীন’, বলছেন MLA, পঞ্চয়েতে তৃণমূলের প্রার্থী বাছাইয়ে চলছে টাকার খেলা?

TMC in Panchayat: দল যাকে প্রার্থী করবে তাঁকে পছন্দ হোক বা না হোক, তাঁকেই জয়ী করাতে হবে। এ কথা বলেছিলেন খোদ অভিষেকই। তাহলে দলেরই বিধায়কের মুখে অন্য সুর কেন? উঠছে সেই প্রশ্ন।

TMC in Panchayat: গোপন ব্যালট ‘গুরুত্বহীন’, বলছেন MLA, পঞ্চয়েতে তৃণমূলের প্রার্থী বাছাইয়ে চলছে টাকার খেলা?
গোপন ব্যালট ‘গুরুত্বহীন’, বলছেন MLA
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 23, 2023 | 9:35 PM

কলকাতা: গরুপাচার থেকে নিয়োগ দুর্নীতি, লাগাতার দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ শাসক তৃণমূল (Trinamool Congress)। যদিও এই আবহেই চলছে দলের নবজোয়ার কর্মসূচি (Nabojoyar Karmasuchi)। পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) প্রার্থী বাছাইয়ে স্বচ্ছতা আনতে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) তত্ত্বাবধানে চলছে গোপন ব্যালটে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া। জোর করে প্রার্থী নয়, দুর্নীতিমুক্ত আম-জনতার প্রার্থী বাছাই করতেই অবলম্বন করা হচ্ছে চরম গোপনীয়তার। কিন্তু, যে উদ্দেশে এই গোপন ব্যালট, দিনের শেষে সেই উদ্দেশ্য অটুট থাকছে তো? এই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন দলেরই একাংশ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, টাকার বিনিময়ে চলছে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া। 

উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা ভবতোষ বর্মন বলছেন, “আমাকে যখন বলা হল পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হতে আমি রাজি হলাম। বুথে বুথে কাজও শুরু করে দিলাম। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওখানে ভোটাভুটিতে ১৬-০ এগিয়ে থাকি। কোনও প্রতিদ্বন্দ্বীও ছিল না। কিন্তু, এরইমধ্যে আমি জানতে পারলাম প্রার্থী বাছাই নাকি হয়ে গিয়েছে। টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করল। তাই আমি এখন নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কথা বলতে বাধ্য হচ্ছি। আমাদের দাবি যদি না মানা হয় তাহলে আমরা বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে প্রার্থী হব।”  

শুধু যে রাজগঞ্জের বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা অবতোষ বর্মন এ কথা বলছেন এমনটা নয়। জেলার আরও নেতা এমনকী তৃণমূলের বিধায়কও বলে ফেলছেন গোপন ব্যালট আলাদা বিষয়, বুথ থেকে যে নাম যাবে সেটাই ফাইনাল হবে। এখানেই থামছেন না তিনি। সটান বলছেন এই নির্দেশ নাকি অভিষেক নিজেই দিয়েছেন। রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় স্পষ্টতই বলছেন, “ব্যালট-ট্যালট ওটা আলাদা জিনিস। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন বুথ থেকে যে নাম উঠে আসবে সেটাই ফাইনাল হবে। উপরে পাঠাতে হবে।” কিন্তু, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলছেন, পঞ্চায়েতে আম-জনতার প্রার্থী বাছাইয়ের জন্যই আনা হয়েছে এই গোপন ব্যালট। তাঁর কথায়, “আপনি যখন ভোট দেবেন তখন আপনার নাম থাকবে না। আপনার ফোন নম্বর থাকবে না। আপনি গোপন ব্যালটে ভোট দিয়ে জানাবেন আপনি কোন পঞ্চায়েত থেকে আসছেন এবং কাকে প্রার্থী হিসাবে আপনার পঞ্চায়েতে চাইছেন।” এমনকী দল যাকে প্রার্থী করবে তাঁকে পছন্দ হোক বা না হোক, তাঁকেই জয়ী করাতে হবে। এ কথা বলেছিলেন খোদ অভিষেকই। তাহলে দলেরই বিধায়কের মুখে অন্য সুর কেন? থাকছে সেই প্রশ্ন। সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন ভবতোষ বর্মনের মতো একটা বড় অংশের নেতা-কর্মীরা।