Bengal Politics: আলিমুদ্দিনে ঢুকতে ‘বাধা’ অখিল ভারত হিন্দু মহাসভাকে ! সাফাই দিলেন সুজন
CPIM: একশো দিনের কাজের টাকার ইস্যুতে বা 'বাংলা-ভাগের' তত্ত্বের বিরুদ্ধে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভাকে পাশে পেয়েছিলেন মমতা। সম্প্রতি অভিষেকের নেতৃত্বে রাজভবনের বাইরের ধরনাতেও সমর্থন দিতে পৌঁছে গিয়েছিল এই সংগঠন। এবার সেই অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার প্রতিনিধি দলকে আলিমুদ্দিনে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ।
কলকাতা: বাংলার ‘রাজ্য সঙ্গীত’ ও ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ দিয়ে নবান্নের সর্বদলীয় বৈঠকের দিনই সবার নজর কেড়েছিল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামীর সঙ্গে সেদিনের আলোচনায় মুগ্ধ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একশো দিনের কাজের টাকার ইস্যুতে বা ‘বাংলা-ভাগের’ তত্ত্বের বিরুদ্ধে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভাকে পাশে পেয়েছিলেন মমতা। সম্প্রতি অভিষেকের নেতৃত্বে রাজভবনের বাইরের ধরনাতেও সমর্থন দিতে পৌঁছে গিয়েছিল এই সংগঠন। এবার সেই অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার প্রতিনিধি দলকে আলিমুদ্দিনে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ।
দুর্গাপুজোর পর বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির অফিসে যাচ্ছে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। সেই কর্মসূচিতে মঙ্গলবার বিকেলে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএমের রাজ্য অফিসে যাওয়ার কথা ছিল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামীর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদলের। তবে শেষ পর্যন্ত মিষ্টির প্যাকেট হাতে আলিমুদ্দিনের না ঢুকেই ফিরতে হল তাঁদের। চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বক্তব্য, “এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক যে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের অফিসে আমাদের ঢুকতে দেওয়া হল না। মহম্মদ সেলিম আমাদের দেখে দৌড়ে পলায়ন করলেন। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে তাঁদের রাজনৈতিক দলের পরিস্থিতি কেন এতটা খারাপ।”
যদিও অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতির এই অভিযোগের পাল্টা দিয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। চন্দ্রচূড় গোস্বামীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন করতেই সুজনের পাল্টা বক্তব্য, “অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা… এরা কারা? কোথাকার? কে জানে? সিপিএমের অফিসে সবার ঢোকার অধিকার রয়েছে, যদি কারও অসৎ উদ্দেশ্য বা সাম্প্রদায়িক শক্তির পক্ষ নেওয়ার উদ্দেশ্য না থাকে।”
উল্লেখ্য, ‘রাজ্য সঙ্গীত’ প্রসঙ্গে নবান্নের সর্বদলীয় বৈঠকে চন্দ্রচূড় গোস্বামীর কথা শুনে মমতা বলেছিলেন, ‘হিন্দু মহাসভা সম্পর্কে আমাদের অনেকের অন্যরকম ধারণা ছিল। আপনাদের সঙ্গে কথা বলে আমাদের ভুলটা অনেকটা কাটল।’ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনহিতকর পদক্ষেপে রাজ্যের পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছিল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা।