Hooking in Kolkata: ফুটপাথে রমরমিয়ে চলছে হুকিং ব্যবসা, মেয়র পারিষদের চোখে ধরা পড়তেই…

KMC : বিষয়টি নজরে আসার পর কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মেয়র পারিষদ সন্দীপ বক্সী। পুরনিগমের আলো বিভাগের অফিসারদের নির্দেশ দেন, সিইএসসিকে ছবি সহ অভিযোগ করার জন্য।

Hooking in Kolkata: ফুটপাথে রমরমিয়ে চলছে হুকিং ব্যবসা, মেয়র পারিষদের চোখে ধরা পড়তেই...
মেয়র পারিষদের চোখে ধরা পড়ল হুকিং
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 29, 2022 | 7:10 PM

কলকাতা : কলকাতা পুরনিগমের আলো বিভাগের মেয়র পারিষদ সন্দীপ বক্সীর চোখের সামনেই ধরা পড়ল হুকিং। ঢাকুরিয়া এলাকায় দক্ষিণাপণ সংলগ্ন ফুটপাথ জুড়ে রমরমিয়ে চলছে হুকিং ব্যবসা। রীতিমতো মিটার বসিয়ে ফুটপাথের দোকানগুলিতে বিদ্যুতের যোগান দেওয়া চলছে। মাস কিংবা দৈনিক ভাড়ার ভিত্তিতে চলছে এই হুকিং। এই ছবি নজরে আসার পর কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মেয়র পারিষদ সন্দীপ বক্সী। পুরনিগমের আলো বিভাগের অফিসারদের নির্দেশ দেন, সিইএসসিকে ছবি সহ অভিযোগ করার জন্য। শুধু হুকিংই নয়, বিদ্যুতের তার একে অপরের সঙ্গে বিপজ্জনকভাবে জড়ানো অবস্থায় ছিল। এমনকী টেপ দিয়েও আটকানো ছিল না।

ফলে বর্ষা নামলে বাতিস্তম্ভের সঙ্গে ছোঁয়া লাগলে বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই পরিস্থিতি দেখার পর পুরনিগমের তরফে সেলুটেপ দিয়ে তারের মুখ আটকে দেওয়া হয়। হরিদেবপুর কাণ্ডের পর কলকাতা শহরের বিপদজনক বাতিস্তম্ভ চিহ্নিত করতে বেরিয়েছিল পুরনিগমের আলো বিভাগের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। ওই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের নেতৃত্বে ছিলেন মেয়র পারিষদ সন্দীপ বক্সী। বুধবার পুরনিগমের ওই দলটি ঢাকুরিয়া এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বাতিস্তম্ভ পরিদর্শন করতে গিয়েছিল। সেখানেই দেখা যায় এই ছবি। মেয়র পারিষদ জানান, পুরনিগম এই ধরনের কাজ বরদাস্ত করবে না। পুরনিগমে বাতিস্তম্ভের সঙ্গে লাগানো বিজ্ঞাপনের হোর্ডিংও খুলে দেওয়া হয় বুধবার।

উল্লেখ্য, হরিদেবপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কিশোরের মৃত্যুর পর থেকেই চারিদিকে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বর্ষা এলেই বার বার এমন ঘটনা কেন, তা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে বুধবার পুরনিগমে হরিদেবপুরের ঘটনার রিপোর্ট জমা পড়েছে। সূত্রের খবর,  যে স্তম্ভ ছুঁয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হরিদেবপুরের কিশোরের মৃত্যু হয়েছে, সেখানকার তার অধিকাংশ জায়গায় ছেঁড়া ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। এদিকে বুধবার আলো বিভাগের মেয়র পারিষদ সন্দীপ বক্সী তাঁর দলকে নিয়ে ঢাকুরিয়া এলাকায় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানেই ধরা পড়ল এই ছবি।