‘রংবাজ হয়েছ?’ বলেই হোমগার্ডকে ‘সপাটে চড়’ বিজেপি নেতার! তুলকালাম NRS চত্বরে
NRS: অভিজিৎ সরকারের দেহ হস্তান্তর ঘিরে অশান্ত হয়ে ওঠে এনআরএসের মর্গ চত্বর।
অভিযুক্ত বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাজি বলেন, “পুলিশ আমার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ করছে জানি না। কিন্তু এটুকু বলতে পারি পুলিশ আমাদের সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করেছে। আমাদের ওখানে ঢুকতে বাধা দেয়। পুলিশ ধাক্কাধাক্কি করছিল। চরম অসভ্যতা পুলিশ ও এনআরএস কর্তৃপক্ষ করেছে। উত্তেজনাতে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। আমি নিজেকে বাঁচাতে ধাক্কাধাক্কি করেছি। পরিস্থিতি খুব গরম ছিল। অত আমার খেয়াল নেই। তবে এটা একটা আবেগঘন পরিস্থিতি।”
চার মাস ধরে মর্গে শোওয়ানো ছিল বেলেঘাটার বিজেপি নেতা অভিজিৎ সরকারের দেহ। তদন্তের স্বার্থে দেহ রাখতে হয় সেখানে। বুধবারই শিয়ালদহ আদালত নির্দেশ দেয় অভিজিৎ সরকারের পরিবারের হাতে দেহ তুলে দিতে হবে। বিকেল পাঁচটা নাগাদ এনআরএস হাসপাতালের সুপারের কাছে সেই আদালতের নির্দেশের কপি জমা দিয়ে যান অভিজিতের দাদাবিশ্বজিৎ সরকার। তাঁদের জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ দেহ হস্তান্তর করা হবে। সেই মতো বৃহস্পতিবার হাসপাতালে পৌঁছে যান পরিবারের লোকজন ও বিজেপির কর্মী সমর্থকরা।
কিন্তু অভিযোগ, যখন বিশ্বজিৎ সরকার সমস্ত নথিপত্র নিয়ে মর্গের অফিসে যান, দীর্ঘ সময় নানা টালবাহানা করে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। দেহ দিতে দেরী করা হয়। বিশ্বজিৎ সরকারের অভিযোগ ছিল, পুলিশ চাইছে এ ভাবে দেহ সরিয়ে দিতে। সেই সময়ই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
এরপরই দ্বিতীয় বার যখন তাঁরা মর্গে ঢুকতে যায় তখনই পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। সেই সময় চৌরঙ্গি কেন্দ্রে যিনি বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন সেই দেবদত্ত মাজি পুলিশকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। মর্গের ভিতরে ঢোকেন তিনি। সেখানে একজন হোমগার্ড ছিলেন, তাঁকে দেবদত্ত চড় মারেন বলেও অভিযোগ। এরপরই পরিস্থিতি আরও অশান্ত হয়ে ওঠে। আইনজীবী ও বিজেপি কর্মী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এরপরই ফের ভিতরে গিয়ে নিয়ম মাফিক কাগজপত্র জমা দিয়ে মৃতদেহ পান অভিজিৎ সরকারের পরিবার।
আরও পড়ুন: চার মাস পর ছেলে ফিরল সাদা কাপড়ে মুড়ে, থেকে থেকেই জ্ঞান হারাচ্ছেন মা