Kaustav-Nawsad : কৌস্তভ-নওশাদ ইস্যুতে ফিরল অম্বিকেশ-শিলাদিত্যর স্মৃতি, বিরোধিতা করলেই কণ্ঠরোধ?

Kaustav-Nawsad : প্রশাসনের সেম সাইড গোল? জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে।

Kaustav-Nawsad : কৌস্তভ-নওশাদ ইস্যুতে ফিরল অম্বিকেশ-শিলাদিত্যর স্মৃতি, বিরোধিতা করলেই কণ্ঠরোধ?
প্রশাসনের সেম সাইড গোল? জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 04, 2023 | 8:43 PM

কলকাতা : অম্বিকেশ মহাপাত্র, শিলাদিত্য চৌধুরী, তানিয়া ভরদ্বাজ। কৌস্তভ বাগচী (Koustav Bagchi) আর নওশাদ সিদ্দিকী (ISF MLA Nawshad Siddiqui) কাণ্ডে আবারও সামনে এল এই নামগুলি। আবারও মনে পড়ে গেল নামগুলো। আবারও প্রশ্ন উঠল সরকারের বিরোধিতা মানেই কী কণ্ঠরোধের চেষ্টা? আমি আপনি অনেক সময়ই ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রামে রাজনৈতিক বিষয়ে নানা পোস্ট করি। অনেক পোস্ট শেয়ারও করি। শাসক, বিরোধী যে কারও বিরুদ্ধে যেতে পারে যে কোনও রাজনৈতিক পোস্ট বা মিম। সরকারের বিরুদ্ধে, সরকারের নীতির বিরুদ্ধে কিছু বললেই নেমে আসতে পারে প্রশাসনের খাঁড়া। অশ্লীল, কুরুচিকর, ব্যক্তি আক্রমণ বা অশান্তি বাঁধানোর মতো পোস্টে আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হোক এটা তো সবাই চায়। কিন্তু, কোনওভাবে কারও স্বার্থের বিরুদ্ধে কোনও অবস্থান হলে কেন প্রতিশোধস্পৃহা দেখা যাবে?

প্রশ্নটা আজকের নয়। অনেক দিন থেকেই এই প্রশ্নগুলো উঠছে। প্রশ্ন একটাই, রাজ্যে কী প্রতিবাদ করার কোনও অধিকার নেই? এই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। আর এই প্রশ্ন তুলছে কিছু পরিস্থিতি। শুরুটা হয়েছিল অম্বিকেশ মহাপাত্র, শিলাদিত্য চৌধুরী পর্ব থেকে। বিষয়টা অনেক দিনের। কিন্তু থেকে থেকেই প্রশ্নটা উঠে আস। এখন যেমন এই প্রশ্নের প্রসঙ্গটা তুলে দিচ্ছে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারি। নওশাদ আজ জেল থেকে মুক্তি পয়েছেন। ৪২ দিন পর। আর ঠিক সে দিনই গ্রেফতার কংগ্রেসের কৌস্তভ। 

নওশাদ ৪২ দিন জেলে থাকলেন বের হলেন বিপুল জনপ্রিয়তাকে সঙ্গে করে। যেভাবে ফুল মালায় বরণ করে তাঁকে ঘরে ফেরানো হল তা তো তাঁর জয়ের সময়েও দেখা যায়নি। অন্যদিকে কৌস্তভ বাগচী যেভাবে আজ আইনজীবীদের সমর্থন পেলেন, যেভাবে সোশ্যাল সাইটে সমর্থন পেলেন তা কি পেয়েছিলেন কৌস্তভ। সাগরদিঘি নির্বাচনের ফল রাজ্যের শাসকদলকে একটু হলেও নাড়া দিয়েছে। তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে উত্তপ্ত সংলাপ বিনিময় চলছে। এই আবহে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে তোপ দাগতে গিয়ে কিছুটা ব্যক্তিগত আক্রমণ শানিয়ে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর পরই পাল্টা আক্রমণ শানান কৌস্তভ।

শনিবার ভোর রাত, কৌস্তভের বাড়িতে যায় পুলিশ। জামিন অযোগ্য-সহ একাধিক ধারায় গ্রেফতার করা হয়। কৌস্তভের স্ত্রী থেকে বাবা-মা, সবার একটাই প্রশ্ন মাঝ রাতে কেন? এটা কী প্রতিহিংসা? পুলিশ নাকি যুক্তি সংগত কারণই দেখাতে পারেনি গ্রেফতারির। একদিকে যখন কৌস্তভকে নিয়ে সরগরম রাজনীতির হাওয়া, তখন ৪২ দিন পর জেল থেকে মুক্তি নওশাদ সিদ্দিকির। ৪০ দিনের মাথায় পেয়েছিলেন জামিন। কিন্তু কাগজ পৌঁছে জেল মুক্ত হতে লেগে গেলে আরও দুটো দিন। নওশাদ বেরিয়ে শুনলেন কৌস্তভকে গ্রেফতার কার হয়েছে। সমর্থকদের কাঁধে উঠে হুড খোলা জিপ থেকেই তিনি জানিয়ে দিলেন কৌস্তভের সঙ্গে আছেন। 

সমর্থকদের উল্লাসে ভেসে যাওয়ার মাঝেই নওশাদ বলছেন, প্রতিবাদ চলবে। দমতে নারাজ তিনি। কী কী বিষয়ে আওয়াজ তুলবেন সেটা জেল থেকে বেড়িয়ে প্রকাশ্যে বলেও রাখলেন নওশাদ। রাজনীতি নিয়ে যারা পড়াশোনা করেন, তাঁদের কাছে এই দুটো ঘটনা তাত্‍পর্যপূর্ণ। যে গ্রেফতার হলেন আর যে জামিনে মুক্তি পেলেন তারা দুজনই যে বিরোধী। আর এমন একটা সময়ে এই ঘটনা ঘটছে, যখন সাগরদিঘির মানুষের রায় বিরোধীদের পক্ষে গেছে, দরজায় কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত ভোট। জোর চর্চা হওয়াটা খুব স্বাভাবিক।