Mobile in Rectum: পায়ুদ্বারে ঢুকে রয়েছে মোবাইল! জেলের বন্দি এখন হাসপাতালে
জেলের মধ্যে মোবাইল রাখার চেষ্টা করেছিলেন এক আসামী। কিন্তু কী করে মোবাইল নিয়ে যাবেন জেলে? জেলে ঢোকার আগে তো নিরাপত্তার কড়াকড়ি কম নয়। তাই ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে নিজের পায়ুদ্বারের মধ্যে ভরে লুকিয়ে রেখেছিলেন মোবাইল। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। শেষমেশ ধরা পড়েছেন ওই বন্দি।
কলকাতা: জেলের মধ্যে বন্দিদের মোবাইল ব্যবহারে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু তা অগ্রাহ্য করে অনেক আসামীই জেলের মধ্যে মোবাইল ব্যবহারের চেষ্টা চালান। তা করতে গিয়েই বিপাকে পড়েছেন জেলবন্দি এক আসামী। জেলের মধ্যে মোবাইল রাখার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু কী করে মোবাইল নিয়ে যাবেন জেলে? জেলে ঢোকার আগে তো নিরাপত্তার কড়াকড়ি কম নয়। তাই ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে নিজের পায়ুদ্বারের মধ্যে ভরে লুকিয়ে রেখেছিলেন মোবাইল। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। শেষমেশ ধরা পড়েছেন ওই বন্দি। ওই মোবাইল পায়ুদ্বার বা মলদ্বার থেকে বের করার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে তাঁকে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন ওই বন্দি।
পায়ুদ্বারে লুকিয়ে মোবাইল নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। বারুইপুর আদালত থেকে রবিবার দুপুরে বারুইপুর সংশোধনাগারে যান বছর তিরিশের আসলাম শেখ। জেলে আসার আগেই মোবাইল সঙ্গে রেখেছলেন তিনি। জেলের গেটে নিরাপত্তা পরীক্ষার কড়াকড়ি দেখে ঘাবড়ে যান আসলাম। তা ভরে নেন পায়ুদ্বারে। কিন্তু এতে শেষরক্ষা হয়নি। মোবাইল পরীক্ষার যন্ত্রে ধরা পড়ে পেটের কাছাকাছি কোনও অংশে কিছু একটা আটকে রয়েছে। যন্ত্রটি আওয়াজ করতে থাকে। তার পরে আসলামকে জেরা করতেই তিনি স্বীকার করে নেন, পায়ুদ্বারে মোবাইল লুকিয়ে রাখার কথা।
এর পর আসলামের পায়ুদ্বার থেকে মোবাইল বের করার চেষ্টা চলে। কিন্তু নানা চেষ্টা ( একাধিক কলা খাইয়ে বের করার চেষ্টা করা হয়) করলেও মোবাইল বের করা যায়নি আসলামের পায়ুদ্বার থেকে। এর পরে তাঁকে বারুইপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানেও চিকিৎসকরা চেষ্টা করলেও সেখানে মোবাইল বের করা সম্ভব হয়নি। এর পর বারুইপুরের হাসপাতাল থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় আসলামকে। সেখানেই বর্তমানে চিকিৎসাধীন তিনি।